বান্দরবানে ধর্ষণের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ নারী সংগঠনের প্রতিবাদ

fec-image

বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত দুই নারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থ্রি-হুইলার চালক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

দপ্তর সম্পাদক এন্টি চাকমা স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারি বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলী পাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে থ্রি-হুইলার(মাহেন্দ্র) চালক জাহাঙ্গীর আলম ভুক্তভোগী ওই নারীকে বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ৫ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলম ওই নারীকে তার থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্র) গাড়িতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন প্রপাত এলাকার মসজিদের পাশে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ঘটনাটি গত ৫ জানুয়ারি ঘটলেও গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ সমস্যা নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ নারী গত ৭ জানুয়ারি থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি এক সপ্তাহ অতিক্রম হতে চললেও এখনো প্রশাসন অভিযুক্ত ও চিহ্নিত ধর্ষণকারী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেনি। অপরাধীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার ঘটনা দেশের আইন ও বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ২০২২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী-শিশুর ওপর সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে বলেন।

বিবৃতিতে নারীদের নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারে নিশ্চিতের লক্ষ্যে বান্দরবানে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থ্রি-হুইলার চালক জাহাঙ্গীর আলমকে অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পাহাড়ি নারীসহ সারাদেশের নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নারী-শিশুদের উপর চলা নিপীড়ন-নির্যাতন, ধর্ষণ-খুন-গুম-হত্যা ও অপহরণের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধের দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম, ধর্ষণ, নারী সংগঠন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন