বান্দরবানে ভুমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করলেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপ-সচিব

Bandarban 2

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে উপজাতীদের ভূমি জবর দখল সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করলেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপ-সচিব মো. আলমগীর হোসেন। গত বুধবার থেকে টানা ৩ দিন উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে সফর করেন তিনি।

জানা গেছে, গত ২ মাস পূর্বে গণডাকাতী ও অত্যাচারের কারনে বাদুরঝিরি চাকপাড়ার বাসিন্দারা নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। এক শ্রেণীর ভুমি দস্যুরা উপজাতীদের পাহাড়ী ভূমি দখল করার জন্যই এসব ডাকাতি ঘটনার সুত্রপাত হয় বলে ধারনা করেছেন স্থানীয়রা।

সম্প্রতি এ ঘটনায় উপজাতীয় নেতারা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উপ-সচিব মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরজমিনে পরিদর্শনে যান।

গত বুধবার থেকে তিনি বাইশারীর বিভিন্ন উপজাতীয় পল্লী ছাড়াও বাদুরঝিরি থেকে ডাকাত আতংকে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সদস্যসহ অভিযুক্ত ব্যাক্তি, হেডম্যান (পাড়া প্রধান), ও কারবারীদের সাথে কথা বলেন।

দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উচ্ছেদ হওয়া বাধুরঝিরি চাক পাড়ার প্রধান খিজারী চাকসহ সকলের কাছ থেকে মৌখিক এবং লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় উপজাতীয় পল্লীর লোকজন তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট ভূমিদস্যু কর্তৃক তাদের দীর্ঘদিনের জুম চাষের ভূমি জবর দখল পূর্বক পাড়া থেকে উচ্ছেদের বিষয় লিখিত এবং মৌখিক ভাবে জবানবন্দি প্রদান করেন।

অপরদিকে উপজাতীয়দের উচ্ছেদ করার বিষয়ে অভিযুক্তরা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট, উপজাতীয়দের কাছ থেকে নোটারী পাবলিক ও দেশীয় ষ্টাম্পের মাধ্যমে জমি ক্রয়ের দলিল উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও অভিযুক্তরা দাবী করেন- তারা উপজাতীয় লোকজনের কাছ থেকে জোর পূর্বক জুম চাষের জমি বা পাহাড়ী ভূমি জবর দখল করেনি। এর আগে উপ-সচিব সরেজমিনে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ, চাকপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, মধ্যম চাকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কারবারী, নেতৃবৃন্দ সকলের নিকট উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে কারা জড়িত থাকতে পারেন তা নিয়ে মতবিনিময় করেন। উপ-সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন সরেজমিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জামিলসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথেও কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আলমগীর হোসেনের নিকট তদন্তের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাইশারীসহ বিভিন্ন মৌজায় ভুমিদস্যু কর্তৃক পাহাড়ী জুমিয়া পরিবারের ভূমি দখল ও তাদের নিজ পাড়া থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের বিষয়ে ভুক্তভোগী কর্তৃক উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন। তবে তদন্তের বিষয়ে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা জানতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন