বান্দরবানে ৪৯ রোহিঙ্গা ভোটার সম্পর্কে মাঠে নামছে তদন্ত কমিটি

 

স্টাফ রিপোর্টার :

বান্দরবানে বিভিন্ন কায়দায় মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এরই অংশ হিসেবে ৪৯ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে মাঠে নামছে তদন্ত কমিটি। আগামী সপ্তাহের ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ইসির কাছে প্রতিবেদন পাঠাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে বসবাসরত রোহিঙ্গা ভোটারদের বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি মাঠে নামছে। প্রাথমিক তদন্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৯ রোহিঙ্গা ভোটারের ব্যাপারে আপত্তির কারণে তাদের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই কমিটি মাঠে নামবে।

আরও জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের ভোটার তালিকার হালনাগাদ কার্যক্রমে যেসব রোহিঙ্গা তথ্য গোপন করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের তালিকা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ (ডিডিএলজি) উপ-পরিচালককে আহ্বায়ক করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর সদস্যদের নিয়ে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে মতে, অভিযুক্ত তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা সদর, বিছামারা, দক্ষিণ ছালামি ও উত্তর ছালামি পাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়েত জাহিদ জানান, ৪৯ রোহিঙ্গা ভোটারের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহ থেকে তদন্ত শুরু করা হবে।

জানা গেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এসব রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করছে। আর এসবের সঙ্গে কিছু নির্বাচন তথ্য সংগ্রহকারী, নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, লামা ও আলিকদমে ভোটারদের বিষয়ে আপত্তি না পাওয়া সেখানে তদন্ত হচ্ছে না।

বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বর্তমানে অবৈধভাবে মিয়ানমারের কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক বাস করছে। সেই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও এর পরিমাণ ২৫ হাজারের বেশি বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন