ভাসানচরে পাঞ্জাবি-থ্রিপিস তৈরি করছেন রোহিঙ্গা তরুণীরা

fec-image

ভাসানচরের কারখানায় রোহিঙ্গা তরুণীরা তৈরি করছেন পাঞ্জাবি ও থ্রিপিস। এসব পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন শোরুমে। রোহিঙ্গাদের স্বাবলম্বী করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ভাসানচরে পাঞ্জাবি-থ্রিপিস তৈরি করছেন রোহিঙ্গা তরুণীরা।

সারিবদ্ধ সেলাই মেশিনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বেশ কয়েকজন তরুণী। কেউবা পাঞ্জাবি সেলাই করছেন। কেউবা ফতুয়া কিংবা মেয়েদের থ্রিপিসের কাজ করছেন।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গা তরুণীদের দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কে ক্র্যাফটের বিশাল এ কারখানা।

আরেক অংশে চলছে হাতের কাজ। সুঁই-সুতা দিয়ে কাপড়ে তুলে ধরছেন নানা ধরনের নকশা। এগুলো আবার ব্যবহৃত হবে পাঞ্জাবি কিংবা থ্রিপিসের হাতা ও গলায়। শাড়িতেও চলছে ব্লকের কাজ। একেবারে সাধারণ বাংলাদেশির মতোই চমৎকার সব ডিজাইন তৈরি করছেন তারা।

ছয় মাস আগে প্রশিক্ষণ কমসূচির মতোই শুরু হয়েছিল এ কারখানার। এখন চলছে বেতনের আওতায় এনে কাজের মান আরও বাড়ানোর কার্যক্রম। এ বিষয়ে কে ক্র্যাফটের সহকারী ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওয়াহিদ সরোয়ার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা তাদের কার্যক্ষম করব। ছয় মাসের একটি ট্রেনিংয়ের পর তারা উৎপাদনকাজ শুরু করতে পেরেছেন।’

উল্লেখ্য, ১০ দফায় ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি তরুণী ও নারী।’

সূত্র: সময় নিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন