মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে প্রবাসী হেলাল উদ্দিন শিপু হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালী আসামীরা চাপ দিচ্ছেন। এমনকি এই মামলার স্বাক্ষীকেও নানাভাবে হুমকি এবং হয়রাণি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে শিপু হত্যা মামলার প্রধান আসামী একেএম ইকবাল বদরী অনুষ্ঠিতব্য বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে এলাকায় ছাড়া খোলা চিঠিতে শিপু হত্যা মামলায় তাকে অন্যায় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িত দেওয়া হয়েছে বলেও মিথ্যাচার করছেন বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে এই মামলার ভবিষ্যত নিয়ে চরমভাবে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামে ভূমি বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের গুলিতে বিদেশ ফেরত যুবক হেলাল উদ্দিন শিপু খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার কয়েকজন আসামী গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রধান আসামীসহ প্রভাবশালী আসামীরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে-বেড়ালেও তাদের ধরছে না পুলিশ। উপরন্তু প্রধান আসামী একেএম ইকবাল বদরী অনুষ্ঠিতব্য বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাচ্ছেন। তিনি আত্মগোপনে থাকলেও সমিতির সভ্য ও ভোটারদের মাঝে বিলি করে যাচ্ছেন উদ্দেশ্যমূলক একটি লিফলেট। ওই লিফলেটে নিজেকে একেবারে নির্দোষ এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে প্রবাসী শিপু হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন অনুকম্পা পাওয়ার আশায়।

নিহত প্রবাসী শিপুর মা ছকিনা বেগম জানান, জমির বিরোধ নিয়ে তার ছেলেকে নৃসংশভাবে খুন করার ঘটনায় ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন একেএম ইকবাল বদরী। তাছাড়া ইকবাল বদরী হত্যাকান্ডের সময় সমিতির সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তার উপস্থিতিতে ছেলে শিপুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা (নম্বর জিআর ৪৮০/১৫) রুজুর পর প্রথমে চকরিয়া থানা পুলিশ ও পরে কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেন।

বাদী ছকিনা বেগম বলেন, ‘হত্যাকান্ডের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এই মামলার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। নতুন করে কোন আসামীও গ্রেপ্তার করেনি ডিবি পুলিশ। তাছাড়া হত্যাকা-ের পর যে কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা জামিনে বেরিয়ে পড়েছে। এখন তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। তা না হলে ছেলে শিপুর মতোই আমাদেরও একই পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে পরিবার সদস্যদের নিয়ে মানসিকভাবে বেকায়দায় পড়ে রয়েছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন