মালয়েশিয়ায় মানব পাচার : টেকনাফে ৪৯ দালালের বিরুদ্ধে আরো ২ মামলা

Follow Up - Copy

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া মানব পাচারকালে গত ৮ জুলাই ২ শতাধিক যাত্রীসহ ট্রলার উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে কোস্টগার্ডের পক্ষে ৪৯ জনকে আসামী করে টেকনাফ থানায় এ মামলা ২ টি দায়ের করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) দিদারুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, কোস্টগার্ডের পক্ষে দায়ের করা মামলা ২ টির একটিতে ৩৮ দালাল এবং অপরটিতে ১১ দালালকে আসামী করা হয়েছে। মানব পাচার আইনে এ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, ৮ জুলাই সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওযার সময় ২২০জন যাত্রী সহ সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে একটি ট্রলার আটক করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। সেখানে ছয়জন মিয়ানমারের দালাল রয়েছে ছিল। যাত্রীরা বাকিরা ঢাকা, নরসিংদী, বরিশাল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খুলনা, যশোর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ৯ জুলাই এসব যাত্রীদের আনা হয় টেকনাফ থানায়।
ওই সময় মালয়েশিয়াগামি কক্সবাজারের কুতুবদিয়াপাড়া জালাল আহমদ (৪৩) জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের চকরিয়ার থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেও পথিমধ্যে মহেশখালী, উখিয়া, বাহারছড়া, টেকনাফ, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে আরও দেড় শতাধিক লোক বোটে তোলা হয়। সোমবার ভোররাতে ট্রলারের চালক (মাঝি) ও দালালরা মিলে সাগর উত্তাল থাকায় মিয়ানমারে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা সকলে মিলে মাঝিসহ ছয় দালালকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলি এবং চলন্ত বোট নিয়ে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি সাগরে দিকবেদিক ঘুরতে থাকি। পরে জ্বালানি তেল শেষ হয়ে যাওয়াই এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে কয়েকটি মাছ ধরার নৌকা দেখতে পেয়ে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে কোস্টগাড সদস্যরা আমাদের উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনের কূলে নিয়ে আসে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন