মাটিরাঙ্গায় ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের সিংহপাড়ায় প্রথম বারের মতো ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর বা ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি অঞ্চল অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল।
এসময় তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদের যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। কৃষক শুধু খেতে পানি ও পরিচর্যা করবেন। এ প্রকল্প থেকে আধুনিক চাষাবাদের ধারণা পাওয়া যাবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম খরচে বেশি ফলন ফলানো যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৭৩ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে একই জাতের বোরো ধান একই সময়ে আবাদ করা হবে। কৃষকেরা যন্ত্রের সাহায্যে এক সঙ্গে সমলয় ভিত্তিতে বপন, রোপণ ও কর্তন করবেন এই ধান। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমলয় চাষাবাদ’।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষি উপসহকারী নুর মোহাম্মদের সঞ্চালয়নায় ও খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি বিনা সাব-স্টেশন সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি প্রকৌশলী দেবাশীষ চাকমা, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার বাশিরুল আলম, উপজেলা কর্মকর্তা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আলী, তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, তবলছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগসহ সভাপতি তাজুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষক পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। কৃষি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা সমাধানে সব সময় কৃষি অফিস সাথে আছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপজেলার কৃষি উপসহকারীগণ এবং এলাকার উপকারভোগী কৃষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।