মাটিরাঙ্গা বাজারে অগ্রিম আসতে শুরু করেছে কাঁঠাল
গ্রীষ্ম শুরুর আগেই মধুমাসের আগাম বার্তা নিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমি রসালো ফল কাঁঠাল। প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক বাজারের হাট হলেও মাটিরাঙ্গা বাজারে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রা আঞ্চলিক মহা সড়কের দুই পাশে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে শুক্র ও শনিবার দুই দিনই বারোমাসি বাহারি ফলের বাজার বসতে দেখা যায়।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল, কলা, আনারস, বেল, তেতুল,পেঁপেঁসহ বাহারি ধরনের ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হচ্ছে।
ফলের গুণগত মান ও দামে কম হওয়ায় ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা ফল নিয়ে যায়। সামনে গ্রীষ্মকাল, মধুমাস আসতে আরো কিছু সময় বাকি। কিন্তু তার আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে কাঁঠাল। অগ্রিম বাজারে দাম ভাল পাওয়ার কারণে অপরিপক্ক কাঁঠাল বিক্রি করছে চাষিরা। স্থানীয়ভাবে এর তেমন কদর না থাকলেও সিলেট চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে কাঁঠাল।
বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথম প্রথম কাঁঠালের দাম ভালো পাওয়া যায়, তাই বিক্রি করছি।
সিলেটের পাইকার রনু মিয়া বলেন, আমি মাটিরাঙ্গা থেকে সবসময় কলা ও মৌসুমি ফল নিয়ে যাই। আগ্রিম কাঁঠাল বাজারে এসেছে তাই কিনেছি। প্রথম বাজারে আসায় দাম একটু বেশি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাটিরাঙ্গার মাটি ও আবহায়া অনুকূলে হওয়ায় এখানে প্রায় বারো মাসই কাঁঠাল জন্মে। তবে বারোমাসি কাঁঠালের সংখ্যা কম। এখন বাজারে যে সব কাঁঠাল আসছে তা পরিপক্ক হয়নি। বেশি টাকা পাওয়ার আশায় চাষিরা অপরিপক্ক কাঁঠাল বিক্রি করে দিচ্ছে।