মৃত ব্যক্তিকে অসুস্থ দেখিয়ে ১৩ বছর যাবত পেনশন’র টাকা উত্তোলণ করার অভিযোগ
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
মৃত ব্যক্তিকে অসুস্থ দেখিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত অবৈধভাবে পেনশন এর টাকা আত্মসাত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। রাজস্থলী ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কমলছড়ি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন মংপ্র চাই মারমা। দীর্ঘ ১৪ বছর আগে তিনি অবসরে যান এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা যায়, তিনি অসুস্থ হওয়ায় তার পক্ষে নিজে এলপিআরের টাকা ব্যাংক থেকে তোলা সম্ভব নয়। তাই তার ছেলে উক্যাচিং মারমাকে অবসর জনিত টাকা তোলার জন্য পিতা নির্দেশ দেয়। পারিবারিক ভাবে অভিযোগ পাওয়া যায় ওই শিক্ষক দীর্ঘ ১২ বছর পূর্বে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী, স্বামীর পরিবর্তে অবসরের টাকা পাওয়ার কথা, কিন্তু ছেলে উক্যাচিং মারমা বাবা মারা যাওয়ার পরও কোন টাকা পয়সা মাকে দেয়নি। মা শৈমাচিং মারমাও ৫ বছর পূর্বে মারা যান। দীর্ঘ ১৩ বছর পর্যন্ত তিনি অফিসের লোকজনকে হাত করে পিতার টাকা পয়সা নিজে একাই ভোগ করে যাচ্ছে।
নিতহ শিক্ষকের ছেলে মংম্যাচিং মারমা ও তার অন্যান্য ছেলে মেয়েরা এবং গংগ্রিছড়ার এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন নিয়ম অনুযায়ী বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারে সকল ওয়ারিশগণকে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার কথা। তা না করে ওই উক্যাচিং মারমা কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে এবং পিতাকে এখনও অসুস্থ দেখিয়ে পেনশন এর টাকা নিজে একাই ভোগ দখল করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ইক্যাচিংকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ ব্যাপারটি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবে। কিভাবে মৃত ব্যক্তিকে অসুস্থ দেখিয়ে অবসরজনিত টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছে। এ ব্যাপারটি সঠিক তদন্ত করলে এর আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ওই পরিবারটি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী গংগ্রিছড়া এলাকায় বসবাস করে আসছে।