ফোন কেড়ে নেয়ায় হোস্টেলে আগুন দেয় ছাত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রী হোস্টেলে ভয়াবহ আগুন, মৃত ১৯

fec-image

ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন শিক্ষক আর তাতেই রাগে হোস্টেলে আগুন ধরিয়ে দেন অন্য এক ছাত্রী। ভয়াবহ সেই আগুনে পুড়ে মরলেন ১৯ জন আবাসিক ছাত্রী। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এদের মধ্যে অভিযুক্ত সেই ছাত্রীও রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের গায়ানায়। গায়ানার তদন্তকারীরা এমনটাই বলছেন। গত মঙ্গলবার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
রবিবার গভীর রাতে মাহদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি তালাবদ্ধ ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেরাল্ড গউভিয়া বলেছেন, একজন সন্দেহভাজন ছাত্রী রয়েছে, যার বয়স প্রায় ১৪। একজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে ওই ছাত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে তার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তখনই ওই ছাত্রী কাঠ ও কংক্রিটের তৈরি ওই ভবনে আগুন দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেসলি রামসামি বলেছেন, আগুনে আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং এই সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে কিশোর বন্দিশালায় রাখা হবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, ডর্মের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় এবং জানালায় গ্রিল থাকায় হতভাগ্য বেশির ভাগ ছাত্রী বের হতে পারেনি। ডর্মের কর্মী তার ভালোবাসা থেকেই তাদের প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিলেন। অনেক ছাত্রী রাতে পালিয়ে বের হয়ে যেত।

তাই তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়েই দরজায় তালা দিতেন বলে জানান গউভিয়া। তিনি আরো বলেন, হোস্টেলকর্মী সেই সময় বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন, কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় সঠিক চাবিটি খুঁজে পাননি, কিন্তু পরে তিনি খুঁজে পান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশপাশের বাসিন্দারা মেয়েদের চিৎকারে জেগে উঠেছিল। পরে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়, কিন্তু ততক্ষণে ১৯ ছাত্রীর মৃত্যু হয়। গউভিয়া আরো বলেন, এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি। রাষ্ট্র এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।

সূত্র : এপি নিউজ

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আগুন, ছাত্রী, ফোন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন