রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক ৭মার্চ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭মার্চ পালন উপলক্ষে সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দীন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, সদস্য জাহিদ আকতার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশ মানিক প্রমুখ।

সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু”। এই স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বিনিয়ারা এদেশেকে দীর্ঘ আড়াইশো বছর শাসন করেছে। যুগের আবর্তনে জাতি সমুহের সোচ্চার আন্দোলনের মুখে সেদিন ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেদিন বাঙালী জাতি মনে করেছিলো এবার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দুঃস্বপ্নের বেড়াজালের এবারও বাঙালী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শিকলে পতিত হয়। যার ফলে বাঙালীরা স্বাধীনতার দাবিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণভ্যুত্থান ৭০’র নির্বাচন, অবশেষে ৭১’র স্বাধীনতার জন্য মুক্তিকামী বাঙালীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো।

তিনি আরও বলেন, আজ বাঙালী স্বাধীন জাতি, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে টিকে আছে। আর এ বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস যিনি রচয়িতা তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নবাব সিরাজদৌল্লাহ’র পরাজয়ের দিনকে যিনি স্বাধীনতার স্বাধ বাঙলা ও বাঙালীকে প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালী থাকবে ততদিন এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধু আদর্শের, সৈনিক সৃষ্ঠি হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন তথা সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে এ বাংলার রাজনীতির কথা ঘূণাক্ষরে চিন্তা করা যায় না। তিনি অত্যন্ত হতাশার সাথে বলেন, আমরা শুধু ঐতিহাসিক দিন আসলে দিন পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের উচিত, দেশের যুব সমাজের মধ্যে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করা। আর এ কাজটি করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস মুছে যাবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত হবে দেশের তরুণ সমাজকে নিয়ে দেশের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করা আর তার মধ্যে থেকে সঠিক দেশ প্রেমিক সৃষ্ঠি করা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার শাসনামলে বর্তমানে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। আর আমরা সে বিচার দেখে যেতে পারছি বলে নিজেকে অনেক ভাগ্যমান মনে করছি। আশারাখি শেখ হাসিনার শাসনামলে সকল রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের বিচার সম্পন্ন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন