রাঙামাটির চন্দ্রহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর যাত্রা শুরু
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি :
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো রাঙামাটির প্রত্যন্ত ও দূর্গম এলাকা বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের চন্দ্রহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের কমিটির পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্মিত বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
রাঙামাটি জেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ত্রিপুরাছড়া তপশিল ৫৯নং মৌজার কাব্বারী মধুচন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা, বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরুণ কান্তি চাকমা, মেম্বার কিরণ চাকমা, মহিলা মেম্বার অলকা চাকমা, শিক্ষক মোঃ হাসান উদ্দিন, সমাজ উন্নয়ন কর্মী সুসময় চাকমা, সুবল চাকমা প্রমূখ।
রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের চন্দ্রহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য দূর্গম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হওয়ার কারণে এখানকার জনগোষ্ঠী অনেকটা পিছিয়ে ছিল। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও আন্তরিকতার কারণে বিদ্যালয়বিহীন অঞ্চলে বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। তাই দেশের জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করতে বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বেসরকারী স্কুল জাতীয়করণ, শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই প্রদান, শিক্ষা বৃত্তিসহ শিক্ষা উন্নয়ন নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এর আগে চেয়ারম্যান ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শণ করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, শিক্ষা উন্নয়নে পরামর্শ প্রদান ও মতামত গ্রহণ করেন। তিনি আগামীতে এই বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।