রাঙামাটির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট
ফাতেমা জান্নাত মুমু:
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে রাঙামাটির বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিক উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্প্রতি টানা বর্ষণে শহর ও উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানিসহ চরম খাদ্য সঙ্কট। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে অনেকেই। মারাত্মক দূষণের শিকার রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যা খাবার পানি হিসেবে মোটেও নিরাপদ নয়। বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কাপ্তাই লেকের সংলগ্ন খোলা পায়খানা ও বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার কারণে পানি মারাত্মক দূষণের শিকার হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে এসব মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের শান্তি নগর, কাঁঠালতলী, রসূলপুর, জালিয়া পাড়া পুরানবস্তী, বাঘাইছড়ি উপজেলার মাস্টার পাড়া, মধ্যমপাড়া, তুলাবান, হাজিপাড়া, মাদ্রাসাপাড়া, বাবুপাড়া, মধ্যম বাঘাইছড়ি, উগলছড়ি, এফ ব্লক, বটতলী বরকল উপজেলার কলাবুনিয়া, লংগদু উপজেলার ভ্যাসানা আদমসহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
বন্যা কবলিত এলাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। পানিবন্দী অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুল কলেজগুলোতে। ফসলের ক্ষেত, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়া অধিকাংশ মানুষ । খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন অনেকে।
এদিকে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এসময় উপজেলা নাগরিক উন্নয়ন কমিটি সদস্য মোঃ সাত্তার খাঁন উপস্থিত ছিলেন।
বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর কবির জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে উপজেলার নতুন নতুন জায়গা প্লাবিত হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলতি মৌসুমের বীজতলা এবং বিভিন্ন ফসলাদি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছে।