রাঙামাটি পৌরসভার জায়গা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অবৈধ দখলে

দখল

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাঙামাটি পৌরসভার নিজস্ব রেকর্ডিয় জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে নিজেদের দাবি করছেন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। যার কারণে পৌর ভবন নির্মাণে বাধা দিচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন। এই একটিমাত্র পরিবারের কারণেই দীর্ঘ নয়টি মাস থেমে আছে রাঙামাটি পৌরসভার মাস্টার প্লান অনুসারে আধুনিক পৌর ভবনের নির্মাণ কাজ। অবৈধ দখলদার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাঙামাটির পৌর এলাকার ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, রাঙামাটি পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করতে মাস্টার প্লানে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারই সুবাধে রাঙামাটি পৌরসভার জন্য একটি আধুনিক পৌরভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরী। কিন্তু একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পৌরসভার নিজস্ব জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রাখায় পৌরভবন তৈরীতে বাধা গ্রস্থ হচ্ছি। একটি আধুনিক পৌর ভবন উপহার দিতে পুরো রাঙামাটিবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র আকবর। বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পৌরসভার আধুনিক পৌরভবন নির্মাণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সম্পাদক শামসুল আলম, মো. সোলায়মান, রঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, হরি কিশোর চাকমা, পুলক চক্রবর্তীসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, রাঙামাটি পৌরসভার নিজস্ব জায়গাগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দুই কোটি টাকারও বেশী বরাদ্ধ দিয়েছে মন্ত্রনালয়। কিন্তু রাঙামাটি পৌরসভা ভৌগলিক অবস্থার কথা চিন্তা করে মন্ত্রনালয় থেকে এই বরাদ্ধ বাড়িয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার মতো করা হয়েছে। কিন্তু একটি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আমরা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এই পৌর ভবনের কাজ শুরু করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি হয়তো যে কোন মুহুর্তে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হতে পারে। তার পর আমরা এই পরিবারটিকে সম্মানের সাথে আমাদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানকল্পে পৌরসভার বৈধ জায়গা থেকে সরে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন