রাঙামাটি শহরে প্রতিবন্ধী ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার
আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
রাঙামাটি শহরের উপকন্ঠে শান্তিনগর এলাকায় জুয়েল নামের এক নরপশুর হাতে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ধর্ষিতা ১১ বছর বয়সী ছাত্রীটি রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের শান্তিনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলের সামান্য দুরেই বসবাস করা রাঙামাটি পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর রবিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক নরপশু জুয়েল (২২) পলাতক রয়েছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ৫ নম্বার বেডে চিকিৎসাধীন বাক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর হতভাগ্য গর্ভধারীনি মা পার্বত্য প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় আমাদের জমিদারের ছেলে জুয়েল আমার মেয়েকে ইশারা দিয়ে ডেকে ঘরের বাইরে নিয়ে নদীর ধারে নিয়ে যায়। এর সামান্য কিছুক্ষণ পরে আমি আমার মেয়ে দেখতে না পেয়ে তাকে খোজাঁখুজি করতে থাকি। এমন সময় আমি জুয়েলের সাথে আমার মেয়ের ধস্তাধস্তি দেখতে পেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে জুয়েল আমার মেয়েকে টয়লেটের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় তালা মেরে দেয়।
তাৎক্ষণিকভাবে আমি জুয়েলকে জাপটে ধরার চেষ্টা করলে সে আমাকে গাছের সাথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে আমার মেয়ে টয়লেটের ভেতরে শারিরিক অসুস্থতায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে আমরা তাকে উদ্ধার করি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়েটির মা জানান, আমার অবুঝ বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে লম্পট জুয়েল। তিনি তার জমিদার বুইজ্জা’র ছেলে জুয়েলকে গ্রেফতার করে তার সঠিক বিচার দাবি করেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির সাথে ইশারায় কথা বললে সে শুধুই কান্না করতে থাকে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে আসা কোতয়ালী থানার এসআই প্রহলাদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ভিকটিমকে সুষ্ঠু চিকিৎসা দেওয়া ও আলামত সংগ্রহের ব্যাপারে এখানে এসেছি। ঘটনার মূল নায়ক জুয়েলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।