রামগড় হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি ৮মাস যাবৎ বিকল

Ramgarh 28 copyরামগড় প্রতিনিধি:
রামগড় সরকারি হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি মাত্র দু’লাখ টাকা বরাদ্দের অভাবে দীর্ঘ আট মাস যাবৎ বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এ অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করার এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ বা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

উপজেলার একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় রামগড় ও পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ির উত্তরাঞ্চলের মানুষ রোগী পরিবহণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এদিকে মাত্র দু’লাখ টাকা বরাদ্দের অভাবে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজে পড়ে থেকে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হারুণ অর রশিদ জানান, গত বছর জুলাই মাসে রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হাটহাজারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফটিকছড়ির নাজিরহাটে একটি গ্যারেজে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর রামগড় হাসপাতালের গ্যারেজে এনে রাখা হয়েছে এটি।

তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করতে দু’লাখ টাকার প্রয়োজন। এ অর্থ বরাদ্দের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রামগড় হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের পদক্ষেপ না নিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলার অন্যান্য হাসপাতালের সব বিকল অ্যাম্বুলেন্স মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র পাঠায়। কিন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোন সাড়া মেলে নি।

এদিকে বিকল অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান কাছে দাবি জানানো হলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকায় এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের করণীয় কিছু নেই।

রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: ইকবাল হোসেন জানান, বিকল অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে জানানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

অ্যাম্বুলেন্সের চালক তরুণ ত্রিপুরা জানান, মাত্র দু’লাখ টাকা ব্যয় করে জরুরিভিত্তিতে মেরামত করা না হলে গ্যারেজে পড়ে থেকে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক এ অ্যাম্বুলেন্সটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়বে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন