রামুতে তুচ্ছ ঘটনায় নিহত কলেজছাত্র আবু সায়েমের জানাজা সম্পন্ন

ramu news & pic 16 may (1) copy

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের রামু পূর্ব মেরংলোয়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ক্রিকেট খেলার মাঠে নির্মমভাবে হামলায় নিহত কলেজছাত্র আবু সায়েমের নামাজের জানাজা সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাহমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকায় বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, নিহত সায়েমের বড় চাচা এ্যাডভকেট নুরুল হক, ছোট চাচা কাইয়ুম উদ্দিন, বড় ভাই মো. ইউনুচ, অধ্যাপক ছৈয়দ আকবর, মাওলানা আবু তাহের।
তারা বলেন, আবু সায়েমের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক হত্যার সুষ্টু বিচার ও খুনিদের ফাঁসি দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতেখাঁরকুলের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, ফরিদুল আলম, আবুল বশর বাবু প্রমুখ। নামাজের জানাজায় ঈমামতি করেন পূর্ব মেরংলোয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মান্নান। নিহত কলেজছাত্র সায়েমের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে ছুটে যান রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সেলিনা কাজী ও রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর।

এ দিকে রামু উপজেরার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের ছাবের আহমদের ছোট ছেলে আবু সায়েম মাহমুদ। সে কক্সবাজার সরকারি কলেজের এইসএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রের পিতা ছাবের আহমদ বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা করেছেন। রামু থানা পুলিশ ১নং আসামী রবিউল হোছাইনের পিতা মনোয়ার হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে সায়েমের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে রামু চৌমুহনী চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী।

আবু সায়েম মাহমুদের বড় ভাই ইউনুচ জানান, গত ৯ মে বিকেল ৫ টার দিকে ছোট ভাই মো. আবু সায়েম (১৯) এর সাথে স্থানীয় বখাটে যুবকদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় এক পর্যায়ে তার ভাই সায়েমকে সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক ও লোহার রড় দিয়ে মাথা ও সারা শরীরে আঘাত করে বলে তিনি জানান। এর পর তার ভাই সায়েম আজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে এলাকার লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত ডা.। শেষে আহত সায়েমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএসটিসি ক্লিনিকে লাইফ সার্পোট দিয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ ৫দিন পর উক্ত ক্লিনিকে তার মৃত্যু হয়।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, হামলায় অভিযুক্তদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে আবু সায়েম মাহমুদের মুত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন