রুমায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

fec-image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে নবনির্মিত বেথেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে (এলজিইডি)’র প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লকডাউন থাকা অবস্থায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে স্কুল ভবনটি নির্মাণ কাজ চলমান রাখে ঠিকাদার জসিম উদ্দিন। উপজেলা প্রকৌশলী’র অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারের নির্দেশে ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ইচ্ছে মত কাজ করে চলেছে শ্রমিকরা। স্কুল ভবনটির বেইস ঢালাই থেকে শুরু করে গ্রেড বীম পর্যন্ত পরিমাণের চেয়ে সিমেন্ট কম দেওয়া হয় ও লোক দেখানো কিছু পরিমাণ দৃশ্যমান ভালো বালু রেখে আড়ালে স্থানীয় সাঙ্গু নদীর বালু মিশিয়ে ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয়। এভাবে ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার উপর ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টির ব্যাপারে রুমা সহকারী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, লকডাউন থাকা অবস্থায় স্কুল ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রাখার বিষয়টি আমি অবগত নয় কিন্তু কাজ বন্ধ রাখার কোন সরকারি নির্দেশ নেই। কাজ ১০০% ভালো হবে তা বলবো না।

তবে কত টাকা ব্যয়ে রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ হচ্ছে ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের নাম এবং কাজ পরিদর্শনে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

তিনি আরও বলেন, সরকার গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করলেও ঠিকাদারদের জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমতি আছে বলেও জানান।

বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে কাজ না করার জন্য সকল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিষেধ করেছি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের অফিসের পক্ষ থেকে কাজ করার নিষেধ রয়েছে। কিন্তু লকডাউন থাকা অবস্থায় গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কার অনুমতিতে কিভাবে ঠিকাদার জসিম উদ্দিন তার কাজ চলমান রেখেছিল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ বিষয়ে ঠিকাদার জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ, নিম্নমানের, নির্মাণের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন