রুমায় হতরিদ্রদের কার্ড প্রতি ২০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ

????????????????????????????????????

রুমা প্রতিনিধি :
স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সুবিধাভোগী গ্রাহক কার্ডের  জন্য পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে জনপ্রতি দুইশত টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ডিলারও জড়িত বলে জানা গেছে। এখন অনিয়ম ঢাকতে ইউপি‘র সাধারণ সদস্য ও মহিলা সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টির অভিযোগ করাা হচ্ছে। এনিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের ঘোষিত হতদরিদ্র পরিবারের জন্য কেজিপ্রতি ১০টাকায় চাল বিতরণ করতে রুমা উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের দুই হাজার ১৬১ জন হতদরিদ্র পরিবার তালিকাভুক্ত করা হয়। তার মধ্যে পাইন্দু ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৪৭৩জন। ৩নং ওয়ার্ডের  চাইরাগ্র পাড়া কারবারি(পাড়া প্রধান) উচ্চ মারমা(৩৯), ছোরি মারমা(৪৮), ক্যহ্লাপ্রু মারমা(৪০)সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে জানান তাদের পাড়ার নয় জনের গ্রাহক কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ইউপি সদস্য মংসিংথোয়াই মারমাকে দুইশত টাকা করে দিতে হয়েছে। যারা টাকা দিতে পারেনি, তারা গ্রাহক কার্ড পায়নি। আর টাকা দেয়ার পরও ইউপি সদস্য  গ্রাহক কার্ড দেরিতে বিতরণ করায় গত সেপ্টেম্বর মাসে অনেকে ১০টাকায় চাল কেনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন হতদরিদ্ররা। এখনো অনেক গ্রহকের কার্ড ওই মেম্বারের হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রতন কান্তি দাশ ও কিরণ মাষ্টার ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে অনিয়মের যারা জড়িত, সে চেয়ারম্যান-সদস্য,দলের নেতা কিংবা ডিলার যেহোক কাউকে ছাড় দেয়া উচিত ঠিক হবে না। এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন এই দুই নেতা।

এবিষয়ে পাইন্দু ইউপি ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মংসিংথোয়াই মারমা তার বিরুদ্ধে কার্ড প্রতি দুইশত টাকা নেয়ার বিষয়ে বলেন কার্ড গ্রাহকের কাছে কোনো টাকা নিজ হাতে নেইনি। তবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছোমেচিং মারমার কাছ থেকে তিনি গ্রাহক কার্ড বাবদ দুই হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন। গ্রাহক কার্ডগুলো গ্রাহকদের না দিয়ে নিজের কাছে কেন রেখেছেন এই প্রশ্নে ইউপি সদস্য মংসিংথোয়াই মারমা বলেন, কার্ড গ্রাহকদের বসতবাড়ি দুরবর্তী এলাকায় ও তারা সবাই এখন পাহাড়ি ঝুমঘরে থাকায় তাদের কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অধিকাংশ কার্ড দেয়া হয়ে গেছে। তার কাছে মাত্র এখন ৯/১০টি গ্রাহক কার্ড আছে বলে জানিয়েছেন মংসিংথোয়াই।

তবে ইউপি সদস্য মংসিংথোয়াই মারমাকে টাকা দেয়া প্রসঙ্গে মহিলা সদস্য ছোমেচিং মারমা(২৭) পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমি কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। কারোর কাছে টাকা নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমি মেয়ের মানুষ। বয়সের দিক থেকেও  সব মেম্বারের চেয়ে ছোট। তাই বলে দাদা মংসিংথোয়াই মেম্বার নিজে টাকা নিয়ে আমাকে ফাসাঁচ্ছেন। সে-ই(মংসিংথোয়াই) হাত খরচ প্রয়োজনের কথা বলে আমাকে দুই হাজার টাকা দিয়ে গেছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিধি খরচ মিটানোয় গ্রাহকদের কাছে বড়জোর ৫০টাকা নিতে সভায় বলা হয়েছে। ইউপি সদস্যরা গ্রাহকপ্রতি দুইশত টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমার করার কিছুই নেই উল্লেখ করে তিনি জানান দুইশত টাকা নেয়ার কথা শুনার পর সব ইউপি সদস্যকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন