রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পূর্ণবাসনের কাজে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

 

উখিয়া প্রতিনিধি:

সরকারের নির্দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে সেনাবাহিনীরা পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা  শুক্রবার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে সেড নির্মাণ, নিবন্ধন কার্যক্রম, ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সর্বপোরি পূর্ণবাসনের কাজ তদারকির শুরু করেছে।

সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত বৃহস্পতিবার কুতুপালং রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পূর্নবাসন ও ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে দায়িত্বপালন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক পরিদর্শন করার পর শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের পূর্ণবাসনে মাঠে নামেন। বিজিবি ও সংশ্লিষ্টরা ১১ দিনের মাথায় নিবন্ধন কার্যক্রম সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেছেন। ফলে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রমে নতুন করে গতি ফিরে  এসেছে। সেনাবাহিনীর পুরোদমে নিবন্ধন কার্যক্রমও চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

পার্সপোট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রিদুয়ান জানান, মিয়ানমার হতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে গতকাল শুক্রবার থেকে  ৫০টি বুথ খোলা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে অধিক ৪/৫ মাস লাগতে পারে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন সম্পন্ন ও পরিচয় পত্র সরবরাহ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও পাসর্পোট অধিদপ্তর। এই প্রকল্পের ডেপুটি পরিচালক লে. কর্নেল শফিউল আলম জানান, নিবন্ধনের সময় প্রত্যেকের দশ আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এবং মিয়ানমারে তাদের ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হবে। দেওয়া হবে পরিচয় পত্র।

শুক্রবার বিকেলে কুতুপালং ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পে ৩০টি বুথে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কাজ চলতে দেখা গেছে। আঙ্গুলের ছাপ, ছবি তোলা ও তথ্য সংরক্ষণ করতে একেকজন রোহিঙ্গার জন্য গড়ে তিন থেকে চার মিনিট সময় প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন