রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে

10952160_815157795221406_1852314717_n

স্টাফ রিপোর্টার :

যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক এসিসটেন্ট সেক্রেটারী অ্যান রিচার্ড বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কোন নৃতাত্ত্বিক জাতি হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠরায় উদ্বাস্তু থেকে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাজ করছে। রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু থাকার কারণে তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দেশে থেকেও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। যে কারণে এরা পাশের দেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। তাই এ সমস্যা সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওই সময় রোহিঙ্গা নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিমন্ত্রীকে অভিযোগ করে বলেন, মিয়ানমার সামরিক সরকার রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত মুসলমানদের নির্যাতন, নিপীড়নসহ বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লোকজনকে খুন করে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও তাদের জমিজমা, সহায় সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার কারণে তারা এখানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতারা আরো বলেন, মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বসহ যাবতীয় মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা না পর্যন্ত তারা সে দেশে ফিরে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা, সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ফরিদ উদ্দিন ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইউএনএইচসিআরের রিজিওনাল অফিসার জিমস লিমসি, স্টিনা লোনডিন, ব্যাংককস্থ আইওএম’র রিজিওনাল অফিসার এন্ড্রো ব্রোচ, স্টাফ অফিসার কেইন সাইম, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ এস এম সরওয়ার কামাল প্রমুখ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিমন্ত্রী কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের সম্মেলন কক্ষে সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন