রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ২ বছর: শূণ্য রেখায় এখনো ৩ হাজার ৯১০ রোহিঙ্গা

fec-image

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ২ বছর পূর্ণ হয়েছে রবিবার (২৫ আগস্ট)। মিয়ানমারে হত্যা, নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাত থেকে কয়েক দফায় বাংলাদেশ সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা বড়ছনখোলা, আশারতলী সাপমারাঝিরি, ঘুমধুম কোণার পাড়া বাইশফাঁড়ি ও দোছড়ি সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে।

এরমধ্যে বেশ কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লেও তৎসময় সীমান্ত পাহাড় ও জিরো লাইন এলাকায় প্রশাসনের পাহারায় ছিল ২৮ হাজার ১৬০ রোহিঙ্গা। এছাড়াও ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোণারপাড়ায় আশ্রয় নেয় ৪হাজার রোহিঙ্গা। সেখান থেকেও বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে গেছে।

জানা গেছে, সরকারের উচ্চ মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর থেকে প্রথম দফায় কক্সবাজারের বালুখালিতে স্থানান্তর করা হয় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। এর পর দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারী শাপমারা ঝিরিসহ অন্যান্য ক্যাম্পগুলো থেকেও ধাপে ধাপে কুতুপালং, বালুখালী স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু শূণ্য রেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি মিয়ানমার। এর আগে এ সব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যপারে বাংলাদেশকে আশ্বস্থ করলেও বার বার কালক্ষেপন করা হচ্ছে। শূণ্য রেখায় আশ্রয় নেয়া চার হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে বর্তমানে সেখানে ৬৩৩ পরিবারের ৩ হাজার ৯১০ জন অবস্থান করছে।

ঘুমধুম সীমান্তের শূন্য রেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা মাস্টার দিল মোহাম্মদ জানান, বাংলাদেশ- শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তুমব্রু কোণারপাড়া এলাকায় অনেকটা পরিবেশের সাথে মিশে গেছে। তবে মিয়ানমারের পরিবেশের উপর নির্ভর করছে সেদেশে ফিরে যাওয়া।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রাখাইন, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন