লক্ষ্মীছড়িতে অপহৃত অমল চাকমার ভাগ্যে কী ঘটেছে

অপহরণ

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মামা ভাগিনা অপহরণ ঘটনা এখন মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে পুরো এলাকায়। তৎপর হয়ে ওঠেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন না হলেও আসলে ঘটনা কী ঘটেছে, কেন ঘটলা তা নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে নানা বিশ্লেষণ।

ঘটনার দুই দিন পার হলেও অমল বিকাশ চাকমার কোনো সন্ধান মিলেনি রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে ভাগিনা প্রদীপ কুমার চাকমা এ প্রতিনিধিকে ফোন করে অপহরণ না হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেন। মামু অমল চাকমা কোথায় এ খবর অবশ্য সে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারে নি। অপহরণ খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন সে মোটরসাইকেলে যাত্রী ভাড়া নিয়ে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, শুক্রবার সন্ধায় সমুড় পাড়ার বিজয় কুমার চাকমার ছেলে অমল বিকাশ চাকমা (কিনাধন) উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ হন। যদিও পরিবারের পক্ষ হতে এ ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এছাড়া অপহরণ না অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে তা নিশ্চিত করে যাচ্ছে না। তবে সময় যত গড়াচ্ছে রহস্য ততই ঘনীভূত হচ্ছে।

লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রকিব বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটছে বলে পরিবার কিংবা এলাকার পক্ষ থেকে কেউ কিছুই জানায় নি। তবুও পুলিশের পক্ষ হতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আর অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে অমল চাকমা নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকার নানান রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সন্ত্রাসীরা এরি মাঝে মুক্তিপণ হিসেবে ৫লাখ টাকা এবং পরে তা কমিয়ে ৪ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে সূত্র জানান। সমঝোতার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে, যদি তা সঠিক হয় সোমবার দিনের কোনো একটি সময়ে হয়ত দেখা যেতে পারে অমল চাকমাকে। যদিও এসব তথ্যের কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা যায় নি নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে। তবে এলাকাটি ইউপিডিএফ অধ্যুষিত হলেও এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আদৌ কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও নিশ্চিত করা যায় নি। তবে গত বুধবার একই এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ’র ৪ সন্ত্রাসীসহ একে-২২ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

অমল বিকাশ চাকমা ইউপিডিএফ’র স্বক্রীয় কর্মী হিসেবে অপর একটি সূত্র দাবি করলেও বর্তমানে এসব কর্মকাণ্ডে সে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। সব কিছু মিলিয়ে অমল চাকমা জনসম্মুখে আসলেই প্রমাণ হবে অপহরণ না অন্য কিছু।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন