লক্ষ্মীছড়িতে নিখোঁজ লালমিয়ার হদিস মেলেনি এখনো: ঘটনা অনুসন্ধানে নামছে সেনাবাহিনী

fec-image

Followup-Logo2

মোবারক হোসেন:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মহিষকাটা ডেবাতলী নামক এলাকায় এক বাঙালী পরিবারকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি দিলে থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে লালমিয়া নামে এক নিরীহ কৃষক। এখনো পর্যন্ত তার কোনো হদিস মেলেনি।

পরিবারের পক্ষ হতে দাবি করা হয়েছে যারা ভূমি থেকে উচ্ছেদ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারাই লালমিয়াকে গুম কিংবা অপহরণ করেছে। ঘটনার ৬ দিন পার হলেও তার কোনো সন্ধান না মেলায় রহস্য দিন দিন ঘনিভূত হচ্ছে। যদি ব্যাতিক্রমি কিছু না ঘটে থাকে তাহলে বাজার, উপজেলা সদর কিংবা কলেজ টিলার কোনো একটি জায়গা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা লালমিয়াকে অপহরণ করেছে এমন ধারণা অনেকের। এ ক্ষেত্রে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

একাধীক সূত্র অনুসন্ধান করে জানা গেছে, যে মোবাইল নাম্বার থেকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ কিংবা প্রানণাশের হুমকি দিয়ে আসছিল সেই নাম্বার থেইে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে ফোন করে জানানো হচ্ছে লালমিয়ার ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। আর যাদের নাম উল্লেখ করে লালমিয়া বাদী হয়ে সরাসরি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে তারা এখনো রয়েছে ধরা-ছোয়ার বাইরে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন অবস্থা দৃষ্টে এমনটা মনে হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন সাধারণ ডাইরী কিংবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়নি।

লক্ষ্মীছড়ি থানার এস.আই মো: সাদেকুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমরা এখনো তদন্ত করে দেখছি। কোনো ক্লু পেলেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট মহিষকাটা ডেবাতলী এলাকার বাসিন্দা মো: লালমিয়া(৫০) বাদী হয়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ, বাগান ধ্বংস, ঘর ভাঙা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে মর্মে লক্ষ্মীছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করার দিন বিকেলেও লালমিয়াকে বাজার এলাকায় ঘুরতে দেখেছে অনেকে। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে।

খুঁজে বের করার নানা প্রচেষ্টার পর বুধবার রাত থেকে সেনাবাহিনী ঘটনাটি অনুসন্ধানে নেমেছে। লালমিয়ার পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। লালমিয়াকে খুঁজে বের করতে লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনী সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন