শুক্রবার রাঙামাটিতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন পার্বত্য সচিব

Rangamati Pablic Collage 21-11-14-03 copy

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

শুক্রবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ব্যস্তদিন কাটালেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এদিন সারাদিনে পুরো রাঙামাটি শহরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন তিনি। প্রকল্পগুলো হলো: ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাঙামাটি পাবলিক কলেজ নির্মাণ, ৫০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে শহরের তবলছড়িস্থ শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম ভবণ নির্মাণ, ৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তিনতলা বিশিষ্ট্ বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং ৩ কোটি ২৫ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে মোনঘর শিশু সদনের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ।

শুক্রবার শহরের এসকল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি ঘোষ, বোর্ড চেয়ারম্যান পত্নী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশিষ্ট্ কবি অনামিকা ত্রিপুরা, বোর্ড সদস্য বাস্তবায়ন শাহিন আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি চাকমা ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ডা. একে দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এনডিসি ইবনুল হাসান, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির, কলেজের শিক্ষিকা রোকসানা খানম প্রমুখ।

CHTDB Chairman Picture 21-11-14-0

এ সকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির জন্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। আর এতে করে অত্রাঞ্চলে অনেকাংশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো পুরোপুরি শান্তি আসেনি। তাই এই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় পর্যায়ক্রমে চুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পার্বত্য সচিব আরো বলেন, সরকার শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করেছে এবং বাকি ধারা গুলো ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে ২৯টি বিষয় ও বিভাগ জেলা পরিষদগুলোর কাছে হস্তান্তর করেছে সরকার, বাকি মাত্র তিন-চারটি বিভাগ হস্তান্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প প্রসঙ্গে বলেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ের জীবন জীবিকা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল অতি সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে আসবে এবং এই অঞ্চলসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আরো প্রশস্ত করার ব্যাপারে তাদের করণীয় ব্যাপারে যাচাই-বাচাই করবেন।থেগামুখ স্থলবন্দর উন্নয়নে কাজ করবে, এটা হলে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরো প্রসারতা লাভ করবে এবং এখানকার অধিবাসীদের জীবন-মান আরো উন্নত হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন