খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বক্তারা

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক

fec-image

“আলোর পথে যাত্রী আমরা-তুমি স্বপ্ন সারথী, তোমার নেতৃত্বেই দেশ পেয়েছে শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে জেলা দলীয় কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পরপরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন।

বক্তারা বলেন, এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি।বাবা, মা, ভাইসহ আপনজনদের হারানো বেদনাকে বুকে ধারন করে পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছিল । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৎকালীন নেতাদের এক দুরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন বাংলার জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগতাড়িত কন্ঠে বলেছিলেন, সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন।বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি। আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, এমপি,জেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম,জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা,জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী,জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা,সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুই চিং থুই মারমা,ভাইবোন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা প্রমুখ

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র, মাইলফলক, শেখ হাসিনা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন