সকল ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলাবোধের শিক্ষা দেয়: মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু

fec-image

খাগড়াছড়ির তেঁতুলতলা অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে ১৪তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল “বিদর্শন দুঃখ মুক্তি”।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নর-নারীরা দেশ জাতি তথা সকলের হিতসুখ মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট থেকে পঞ্চশীল গ্রহণের পর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, কল্পতরু দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান, স্বধর্ম দেশনা ও শ্রবণ করেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সদরের গামারীঢালা বন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বোধিপাল মহাথের’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুহেলী ত্রিপুরা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের দানোত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটি’র আহ্বায়ক সাধন কুমার চাকমা।

এ ১৪তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, সমাজ -জাতি ও দেশের সুখ-সমৃদ্ধি আর শান্তির প্রচেষ্টায় নিজেকে আবদ্ধ রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আরেক নামই ধর্ম। ভালো ও পূর্ণের কাজের মধ্যে প্রকৃত ধর্ম ও শান্তি বিরাজমান থাকে। ধর্মের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার পাশপাশি পৃথিবীতে পূণ্য কাজের ভাগিদার হলেই শান্তির পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। সকল ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা, নমনীয়তা ও শৃঙ্খলাবোধের শিক্ষা দেয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়া। তাঁর দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের মধ্যে অতিথি হিসেবে অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ তেজবংশ মহাথের, খাগড়াছড়ি সদরের গামারীঢালা বন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বোধিপাল মহাথের, মিরপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের, পূর্ব গামারীঢালা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের, বোয়ালখালী দশবল বৌদ্ধ রাজ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞা জ্যোতি মহাথের, দক্ষিণ খবং পড়িয়া আদর্শ বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত নন্দপ্রিয় মহাথের, দীঘিনালা নির্বাণ গিরি অরণ্য কুঠিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্রকীর্তি মহাথেরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও কয়েক হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অংশ গ্রহণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কঠিন চীবর দান, ধর্ম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন