সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
ঐতিহ্যবাহী বৈসু-বিজু-সাংগ্রাই-বিহু’র শুভেচ্ছা জানিয়ে পাহাড়ীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্তরে মানববন্ধন করেছে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’ পার্বত্য চট্টগ্রাম “ক” আঞ্চল খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি গোলাবাড়ী মহিলা সমিতি(কেজিএমএস)।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় খাগড়াছড়ি শাপলা চত্তরে যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’ পার্বত্য চট্টগ্রাম “ক” আঞ্চল খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি গোলাবাড়ী মহিলা সমিতি(কেজিএমএস) এ আয়েজেন করে। আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ফোরামের ক অঞ্চলের সমন্বয়ক ও সভাপতি চাইথোয়াই মারমা।
আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ‘আদিবাসী ফোরামের’ খাগড়াছড়ি ‘ক’ অঞ্চলের সাবেক প্রফেসর মধুমঙ্গল চাকমা,শিক্ষাবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রজ্ঞাবীর চাকমা,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জ্যোর্তিময় চাকমা,সমাজ সেবক ধীমান খীসা, ‘আদিবাসী’ বিষয়ক জাতীয় কোয়ালিশনের সভাপতি ও নারী নেত্রী নমিতা চাকমা, নারী মুক্তি কেন্দ্রের জেলার সমন্বয়ক ও বাসদের সদস্য কৃষ্টি চাকমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাইহ্লাউ মারমাপ্রমুখ।

বক্তারা পাহাড়ীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবী করে বলেন সরকার বাংলাদেশের পাহাড়ীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সবাইকে বাঙ্গালী বানিয়েছে যা এখানকার পাহাড়ী জনগন কখনো মেনে নেইনি আর কখনো মেনে নেবে না।  বর্তমান সরকারের একাধিক মন্ত্রী এমপি এক সময় জাঁকজমক পূর্ণভাবে ‘আন্তজার্তিক আদিবাসী দিবস’ পালন করতো।  কিন্তু কি কারনে সরকার এখন পাহাড়ী স্বীকৃতি না দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীতে সবাইকে বাঙ্গালী বানিয়েছে।

আর শান্তি চুক্তির ১৬ বছর পরে ও সরকার শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ভাবে বাস্তবায়ন না করায় বক্তারা সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দিন দিন অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।  তাই তারা দ্রুত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করে পাহাড়ীদের সাংবিধানিত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী জানান।

বক্তারা আরো বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের একমাত্র উৎসব হলো বৈসাবি(বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু-বিহু) উৎসব। কিন্তু এই উৎসব আসার আগে বৈসাবি উৎসবের আনন্দকে অম্লান করে দেওয়ার জন্য এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে বলে বক্তারা অভিযোগ করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন