সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী

Untitled-1 copy

মো: আবুল কাশেম, খাগড়াছড়ি থেকে ॥

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহম্মেদ বলেছেন, রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী স্থানীয়দের সহযোগিতায় পর্যটনের এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। এতে করে এখানকার স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, এখানকার উন্নয়ন ও সমস্যার সমাধান স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়েই করা হবে। এখানকার অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। এ সংস্কৃতি ও পর্যটন সম্ভাবনাকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাজেকের রুইলুই ভ্যালীতে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি।

জিওসি আজ (বুধবার) দুপুরে সাজেকের রুইলুই সেনাক্যাম্পের আশপাশের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কাজী শামসুল ইসলাম, বাঘাইহাট সেনা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল কবির হোসেন ও বিজিবির মারিশ্যা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম প্রমূখ। এর আগে মেজর জেনারেল সাব্বির আহম্মেদ রুইলুই পাড়ায় একটি ক্লাবঘর, চিকিৎসা ক্যাম্প ও পর্যটকদের জন্য একটি দ্বিতলা ভবন নির্মাণ উদ্বোধন করেন।

একই সাথে তিনি প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা করার জন্য একটি শক্তিশালী কমিটিও গঠন করেন। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুর্দশন চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় রুইলুই পাড়া প্রধান লাল থাঙ্গা লুসাই বলেন, প্রধানমন্ত্রী রুইলুই পাড়া আসার পর এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে। সেনাবাহিনী ৮০ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণের পর এখন পর্যটন কেন্দ্রের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটক আসবে। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে অনেক পর্যটক আসতে শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজেকের রুইলুই ভ্যালি পরিদর্শন করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

8 Replies to “সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী”

  1. পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। এভাবেই একের পর এক উন্নয়ন করে সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নত, বসবাস যোগ্য আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ করেছে। সার্বভৌমত্ব অটুট রেখেচে। কাজেই আজ যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে আনতে চায় সেই সন্তু গংরা দেখুক সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কিনা করেছে?

  2. শুধু স্থানীয় উপজাতিদের কাজে লাগালে সেকাজ কখনোই শেষ হবে না। ওরা উন্নয়ন কাজ শেষ করতে দেবে না। তাই বাঙালীদের নিতে হবে। বিশেষ করে ঐ অণ্চলে গমনকারী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বাঙালী বসতির কোন বিকল্প নেই। কারণ এলাকাটি ইউপিডিএফ ও উত্তরপূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।

  3. নীলগিরির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্ত্র হতে পারে সাজেক। নীলগিরিতে লোক নেই। কিন্তু এখানে পাঙ্খো, লুসাইদের বসবাস থাকায় তাদের সংস্কৃতি উপভোগ করতে অনেক লোক যাবে।

  4. বাঙালীরা ওখানে গিয়ে পাঙ্খো ও লুসাই মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করবে। অচিরেই এই পর্যটন কেন্দ্রের কাজ বন্ধ করা হোক। জুম্ম জাতির প্রতি এ আমার আহ্বান।

  5. নীল গিরির চেয়েও এই পর্যটন কেন্ত্রটি আকর্ষণীয় হবে। কারণ পাঙ্কো লুসাই দের বৈচিত্র ময় সংস্কৃতির ছোয়া আছে একানে যা নীল গিরিতে নেই।

  6. ইউপিডিএফ ও উত্তরপূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের মাধ্যমে সেখানে শুধু দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বেনা বরং নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যেও আসবে এলাকাটি।

    পাহাড়ের নিরাপত্তা বিধানসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেনাবাহিনীর আন্তরিকতার বহির্প্রকাশ রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ….

  7. ইউপিডিএফ ও উত্তরপূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার মাধ্যমে নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যেও আসবে এলাকাটি। দেশের অখন্ডতা রক্ষায় এটি সেনাবাহিনীর একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সেনাবাহিনীর ধারাবহিক উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ সকল সম্প্রদায়ের নিরাপদ আবাসভুমি।

    সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ সেনাবাহিনীর আন্তরিকতার বহির্প্রকাশ।

    সেনাবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অকুন্ঠ সমর্থন সবসময় ছিল আর থাকবে…..

  8. All ill-programs that the Bangladesh and its military are creating in the CHT will bring no good to the innocent and helpless Jumma peoples. As Jummas are powerless to stop these programs from implementation, I request the UPDF and the JSS to abduct any tourists coming to visit that place and ask for huge ransoms.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন