সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মাটিরাঙ্গার গোমতিতে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সভা
মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা :
মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন গোমতি এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ’র অব্যাহত চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মাটিরাঙ্গার কৃষি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত গোমতি। গত কয়েকদিন ধরে স্বশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজি ও বাঙ্গালী বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সোমবার বিকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান-কারবারীদের সাথে মতবিনিময় সভা গোমতি ইউনিয়ণ পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মনছুর আলী‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল, সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) মো: শাহজাহান হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাইন উদ্দিন খান ও তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলামসহ পুলিশ ও বিজিবি’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা অবিলম্বে ইউপিডিএফ কর্তৃক গোমতিতে বাঙ্গালী বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি বন্ধসহ এলাকার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গোমতি ও জালিয়াপাড়ায় দ্ইুটি সেনাক্যাম্প স্থাপনের দাবী করেছেন। স্থানীয়রা তাদের বক্তব্যে বলেন, উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা গত দুই মাসে অন্তত: ১০টি বাঙ্গালী বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদা প্রদানের জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে গোমতির সাধারন মানুষকে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল বলেন, সরকার এলাকার সন্ত্রাসীদের নির্মূল সম্ভব নয় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আন্তরিক। তিনি পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, জনগণের সহযোগিতায় সম্মিলিত ভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা মো: তোফাজ্জল আহমেদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ভাগ্যধন ত্রিপুরা, মাইন উদ্দিন মেম্বার, মো: রফিকুল ইসলাম মেম্বার ও উশা ত্রিপুরা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে গোমতি এলাকায় অব্যাহত চাঁদাবাজি ও বাঙ্গালী বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেখানে আস্থাহীনতা তৈরী হয়। বাঙ্গালীদের পক্ষ থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করা হলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।