৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ ও পাকা ধান কাটার নির্দেশ দিলেন অং সান সুচি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বর্মী নেত্রী অং সান সুচি রাখাইন সফরে গিয়ে অবিলম্বে ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ এবং রাখাইনের ক্ষেত থেকে পাকা ধান কাটার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং বিদেশি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মাঠে-ময়দানে কোথাও পাকা ধান চোখে পড়ে না। কারণ সবই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী নাই পু বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ৫০০ হিন্দুকে রাখাইনে আশ্রয় প্রদানের পরিকল্পনা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে বর্মী নেত্রী অং সান সুচির গত ২রা নভেম্বরের সফরকালে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রায় ৫৪০টি হিন্দু পরিবারকে মংডুর মিঙ্গি গ্রামে আশ্রয় দেয়া হবে।

‘বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরে প্রথমবারের মতো আমাদেরকে বলা হয়েছে (কেন্দ্রীয় সরকার) ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ করার একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বরাতে এই খবর দিয়েছে ইলেভেন মিয়ানমার ডটকম নামের একটি বর্মী ওয়েবসাইট। তাদের রিপোর্টের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশ প্রত্যাগত ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ করার পরিকল্পনা চলছে কিন্তু কোনো মুসলিমকে নয়’।

৪ঠা নভেম্বরের ওই রিপোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বরাতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতিসংঘের রিপোর্ট মতে ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি উদ্বাস্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গেছেন।
রাখাইন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সুচি বলেছেন, পুনর্বাসন ও টেকসই উন্নয়নে রাজ্য সরকারকে সব রকম পদক্ষেপ নিতে হবে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, অং সান সুচি কথিতমতে রাজ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এখন অগ্রাধিকার দিতে হবে ধান কাটা ও উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করার বিষয়ে। তুয়াংপু লেতউতে পৌঁছে অং সান সুচি প্রস্তাবিত উদ্বাস্তু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর জন্য নির্বাচিত স্থান পরিদর্শন করেন। সুচি নির্দেশ দিয়েছেন যে, উদ্বাস্তুরা আসার পরপরই যথাশিগগির সম্ভব তারা তাদের আদিনিবাসে চলে যাবেন।

উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ‘কূটনৈতিক সমাধানে’ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এরকম কথা অং সান সুচিও বলেছেন। রাখাইনের রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি সিটিউ বিমান বন্দরের লাউঞ্জে বৈঠক করছিলেন। এসময় তিনি নির্দেশ দেন যে, কর্মকর্তাদের প্রত্যেককে তিনটি কৌশল রপ্ত করতে হবে। প্রথমত কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান। উন্নয়ন ও পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তা। অং সান সুচি তার সফরকালে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আরো ভালোভাবে তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি প্রত্যাগত উদ্বাস্তুদের পদ্ধতিগতভাবে গ্রহণ করার পথও বাতলে দিয়েছেন।

 

সূত্র: মানবজমিন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন