টইটং ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ গ্রেপ্তার
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ার টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা এম. শহিদুল্লাহ বি.এ’কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী ভাই ভাই মার্কেটের ২য় তলাস্থ জাপা নেতা বিডিআর জাহাঙ্গীর আলমের অফিস থেকে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অধুনালুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক এম. শহিদুল্লাহ বি.এ উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি প্রথম মেয়াদে ১৯৯৮ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালেও ওই ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি জি.আর মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সংশ্রিষ্টতা সূত্রে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন থানা পুলিশ।
টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম শহিদুল্লাহ বি.এ পেকুয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হিসাবে জনসমাজে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিরও তিনি সহ-সভাপতি পদে আসীন রয়েছেন। তিনি আওয়ামীলীগের বিগত উপজেলা কমিটিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করেন। তবে দলীয় অন্তদ্বন্ধের কারণে পরাজিত হন। গত ১৯ জুন টইটংয়ের বটতলি জুমপাড়া এলাকায় মা-মেয়েকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় পেকুয়া থানায় স্থানীয় আহমদ ছবির স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১১৯/১৫।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানান, টৈটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো.শহিদুল্লাহ একটি মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামী। পুলিশ তাকে ওই দিন আদালতে প্রেরন করেছে।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত টইটং ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এম.শহিদুল্লাহ বিএ’র পরিবার তাকে নিজ এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার চাঁপ ও জোর তদবিরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ্দে বাধ্য হয়েছে অভিযোগ তুলে বলেন, নতুন করে তাকে আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা চলছে উল্লেখ করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।