পেকুয়ায় এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ
উপজেলা প্রতিনিধি, পেকুয়া :
পেকুয়ায় এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিঠিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মোরারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর আগে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোরারপাড়া এলাকার কবির আহমদের পুত্র ফিরোজের সাথে একই ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা গ্রামের মোহাম্মদ হোসাইনের কন্যা দিলুয়ারা বেগমের সাথে বিবাহ হয় । বিবাহের পর তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী কর্তৃক যৌতুকের লোভে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে। ওই স্বামীর যৌতুকের দাবী মেটাতে না পেরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় গত চার মাস আগে।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ দিলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে। ওই মামলা তুলে নেওয়া ও ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য পুনরায় শুরু হয় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতন। আজ দুপুর ২ টার দিকে ওই স্বামী ফিরোজ, তার ভাই ইছহাক, আসহাব উদ্দিন দা, কিরিচ দিয়ে স্ত্রীর ক্রয়কৃত বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের নিমিত্তে অতর্কিত হামলা করে। তারা ওই গৃহবধূ দিলোয়ারা বেগমকে দা, কিরিচ দিয়ে নির্মমভাবে হাতে, মাথায় ও পায়ে কুপিয়ে মেরুদন্ডে মারাত্মক জখম করে। খবর পেয়ে গৃহবধূর আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ককসবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে।
গৃহবধুর ভাই জসিম উদ্দিন জানান, তার বোনকে স্বামী দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মামলা করবেন বলে জানান।