সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ ও বহি:বিশ্বের হুমকী মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, চৌকষ ও সুশৃঙ্খল সেনা সদস্যদের দেশের যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বস্ততা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আশ্বস্ত করেন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে যে রূপরেখা প্রনয়ন করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টা ২০ মিনিটে রামু সেনানিবাসে হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টারে পৌছান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি রামু সেনানিবাসে ১০ পদাতিক ডিভিশন এর অধীনস্ত ২ পদাতিক ব্রিগ্রেডসহ ৭টি ইউনিটির পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী রামু সেনানিবাসে নির্মাণাধীন বীর নারী নামে একটি সড়ক, ১০ পদাতিক ডিভিশনের স্মৃতির স্মারক অজেয়, বীরাঙ্গন নামের মাল্টিপারপাস সেড, মাতামহুরি নামের কম্পোজিট ব্যারাকের উদ্বোধন ও চারটি এস এম ব্যারাকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমদ সিদ্দিকী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা সংসদ সদস্যসহ অসামরিক অতিথিবৃন্দ ও সকল স্তরের সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন ও আশপাশের এলাকা। ছিলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎফুল ছিলো পর্যটন উপজেলা রামুসহ কক্সবাজারবাসী।