পার্বত্য অঞ্চলে একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্ম করছে: দীপংকর তালুকদার

নিজস্ব প্রতিনিধি:
 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম অহিংসা পরম ধর্ম, এই ধর্মে জীব হত্যা মহাপাপ কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
রবিবার ২২ অক্টোবর বিলাইছড়ি উপজেলার ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নের এগুজ্যাছড়ি আর্য্যমৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের ১৭তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
দীপংকর তালুকদার বলেন, অস্ত্র দিয়ে কখনো শান্তি আনা যায় না। অস্ত্র দিয়ে কখনোই জীবন দেয়া যায় না। অস্ত্র মানুষের ধ্বংস করে দেয়। তাই যারা অস্ত্রের রাজনীতি করে তাদের দ্বারা কখনোই কারো মঙ্গল হতে পারে না। তিনি এই সকল অস্ত্রবাজীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
 
পবিত্র ধর্মালোচনায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি ও দীঘলছড়ি কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ আর্য্যলংকার থের। অনুষ্ঠানে আর্শীবাদক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উলুছড়ি স্বধর্মরত্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত অজিতা মহাথের (ধ্যানভান্তে)।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা।
 
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ উন্নয়ন বান্ধব। কিন্তু আঞ্চলিক সংগঠন গুলোর কারণে সকল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ধর্মীয় উপসনালয় নির্মাণ করবো ঠিকাদারা তা করতে পারছে না। তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। তাদের চাঁদা না দিলে উন্নয়ন করতে দিবে না।
 
তিনি বলেন, ধর্মের কাজে থেকে যারা চাঁদা নেয় তারা কিসের রাজনীতিবিদ। তারা রাজনীতির নামে পার্বত্য অঞ্চলে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তিনি এই সকল অস্ত্রবাজী সন্ত্রাসীদের রিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।
 
বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যদি কোন প্রকল্প এক নেকে গেলে তা তিনি অনুমোদন করে দেন। তিনি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন রাষ্ট্রে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তার হাতকে শাক্তিশালী করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
 
 
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন