পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী সকলকে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে: মন্ত্রী মায়া
নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, এমপি বলেছেন, পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী সকলকে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। জেলা পর্যায়ে সকল সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন চাকমা , দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, রাঙামাটি ৩০৫ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পুলিশ সুপার আলদগীর কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন ২০১৭ সালে মাত্র ৩ দিনে রেকর্ড ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বেলে ও দোআঁশ মাটিতে গঠিত এ পাহাড়গুলো এ পরিমান বৃষ্টির পানি শোষন করতে না পারায় পাহাড় ধস হয়। এতে ১৬৬ জনের প্রানহানী ঘটে। এর মধ্যে শুধু রাঙ্গামাটিতেই ১২০ জনের প্রানহানী ঘটে। পাহাড়ে অপরিকল্পিত বসবাস, পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, পানি বেরিয়ে যাওয়ার নালার অভাব ইত্যাদি কারণে পাহাড় ধস হয়।
একটি সমন্বিত পাহাড় ব্যবস্থপনা নীতিমালা, অধিক বৃষ্টিপাতের আগাম সংকেত, পাহাড় ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল গ্রহণের উপর জনাব মোহসীন গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, পাহাড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হবে। বিগত ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে মর্মান্তিক প্রানহানীর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন সরকার পাহাড় ধসে আর একটি মানুষেরও প্রাণহানী চায়না।
এর পূর্বে মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি পৌরসভা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে পাহাড় ধস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়, দুর্যোগ প্রতি সম্পর্কিত বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে র্যালিতে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন এনজিও ও জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।