আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় সৌদি আরবের


প্রথমার্ধে পেনাল্টি গোলে সৌদি আরবকে তটস্থ করে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা জবাব দেয় সৌদি আরব। ৪৮ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে শোধ করে দিয়েছে গোল। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে দারুণ দক্ষতায় গোল করেন আল সেহরি। গোটা আর্জেন্টিনা দলকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে গেল সৌদি আরব। সালেহ আল সেহরির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সালেম আল দাওসারির ২য় গোলে এগিয়ে যায় সৌদি আরব।
কাতারের সবচেয়ে বড় লুসাইল স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচের ২ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা। গোল পেয়ে উজ্জীবিত গ্রিন ফ্যালকনরা আরও ক্ষুরধার আক্রমণ শানাতে থাকে। এমনই এক আক্রমণ থেকে ৫৩ মিনিটে বল পান দাওসারি। দারুণ দক্ষতায় এমি মার্নেটিজকে পরাস্ত করে র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ নম্বরে থাকা দলটাকে এগিয়ে দেন তিনি।
এর আগে, ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব। ষষ্ঠ মিনিটে ডি পলকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিকে ডি-বক্সে আর্জেন্টিনার একজনকে ফেলে দিলে পেনাল্টি দেয় রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি।
সৌদি আরবের বিপক্ষে এই প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। গ্রিন ফ্যালকনদের বিপক্ষে আগেও এক ম্যাচ খেললে সেবার গোল পাননি মেসি। দ্বিতীয় দেখায় গোল করে মেটালেন আক্ষেপ।
সৌদি আরব এদিন চমৎকারভাবে অফসাইড ট্র্যাপ ব্যবহার করে চমক দেখিয়েছে। বারবার এই ফাঁদে পা দিয়েছেন মেসি-মার্টিনেজ। যার কারণে প্রথমার্ধে আরও দুই গোল করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। মেসির পর বাতিল হয়েছে লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোল।
২৭ মিনিটে গোল করেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। সৌদি রক্ষণের ফাঁক খুঁজে নিয়ে অরক্ষিত লাউতারো খুঁজে নেন বল। একা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি তার। তবে গোলটি রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন। ৩৫ মিনিটে বাতিল হয় লাউতারো মার্টিনেজের আরও এক গোল। এবারো বাধ সাধে অফসাইড।
কাতার আসরে নিজেদের শুরুটা রাঙাতে চেয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দলটির কোচ এহবি হোনাহ। আর্জেন্টিাকে হারিয়ে সেটা দেখালেনও। শক্তি-সামর্থ্য, ঐতিহ্য, সাফল্য; সব দিকেই আর্জেন্টিনা থেকে যোজন-যোজন পিছিয়ে থাকার গ্লানি আজ মুছলো সৌদি আরব।
ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে সৌদি আরব। ১৯৯৪ আসর দিয়ে প্রথমবার বিশ্ব মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়ে তারা উঠেছিল শেষ ষোলোতে। এখন পর্যন্ত সেটাই তাদের সর্বোচ্চ অর্জন।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এটিই সৌদি আরবের প্রথম দেখা। তবে এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। যার দুটি জিতেছিলে আর্জেন্টিনা, বাকি দুটি ড্র। এবার আর্জেন্টিনাকে কপোকাত করে ইতিহাস গড়লো সৌদি আরব।