‘আল্লামা আহমদ শফি ও ১৩ দফা সম্পর্কে মিথ্যাচার চালিয়ে আন্দোলন স্তদ্ধ করা যাবেনা’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখার ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, এদেশের বৃহত্তর তৌহিদী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অবিসংবাদিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। মুসলিম প্রধান এদেশে নাস্তিক মুরতাদদের ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতেই মুজাদ্দিদে মিল্লাত আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন। ১৩ দফা দাবীতে এ ঈমানী আন্দোলনকে স্তদ্ধ করে দিতে শাপলা চত্বরে ইতিহাসের বর্বরোচিত নির্মমতা চালিয়ে শত শত জিকিররত আলেম-ওলামা ও মুমিন মুসলমানদের শহীদ করা হয়েছে।
এরপর শহীদের রক্তের শ্রোতধারায় হেফাজতের আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হওয়ায় নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি খেই হারিয়ে এখন হেফাজতের আমীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ আল্লামা আহমদ শফির বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপপ্রচার শুরু করেছে। এভাবে মিথ্যাচার ও দমন-নিপীড়ন চালিয়ে ঈমানী আন্দোলন স্তদ্ধ করা যাবেনা। দাবী আদায় না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গতকাল শনিবার রামুর চাকমারকুল জামেয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা এবাদুল্লাহ।
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন-চট্টগ্রাম জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মুহাদ্দিছ মাওলানা একরামুল হক ওদুদী। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন-হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব।
তিনি “বৃটিশ পত্রিকা ‘দ্যা গার্ডিয়ান’র আল্লামা আহমদ শফি আগামী নির্বাচনে ‘কিং মেকার’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা ক্ষমতাসীন করার জন্য নয়। সুতরাং দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকাও বুঝতে পরেছে যে, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা ঈমানী দাবীকে অবজ্ঞা করে বা আল্লামা আহমদ শফির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে কেউ গদিসীন হতে পারবে না।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- চাকমারকুল মাদ্রাসার প্রবীন মুহাদ্দিছ মাওলানা ছৈয়দ আকবর, রামু এমদাদিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, রামু উপজেলা পরিষদ’র ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাছান, কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা হাফেজ নুরুল আলম আল মামুন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-চাকমারকুল মাদ্রাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা সোলাইমান, হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, চাকমারকুল ইউনিয়ন হেফাজত ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল গফুর।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম রামু উপজেলার সহ-সভাপতি ও রামু মাজহারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, চাকমারকুল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিকদার, কক্সবাজার পৌর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সায়েম হোসেন চৌধুরী, এম. নুরুল হক চকোরী, রামু হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আমিন ও বদিউল আলম, মাওলানা আবুল খাইর, মাওলানা আজিজুল হক সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।