কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা

fec-image

সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজীদ পাশা (৩০) সহ আরো দুইজন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল।

রবিবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা পরিষদ কার্যালয় এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।

তামজীদ পাশা কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ১নং ওয়ার্ডের তেতৈয়া সওদাগর পাড়ার বাসিন্দা শফিউল হকের ছেলে।

আহত অপরজন তানজিদ ওয়াহিদ লোটাস (২৮)। তিনি চৌফলদন্ডী খামার পাড়ার তমিম গোলালের ছেলে।

হামলার ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে সদর মডেল থানায় এজাহার দেন কাজী তামজীদ পাশা। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।

আসামিরা হলেন, বদিউল আলম আমির (৪৮), শাকিল আমির (২৪), রাকিব আমির (২০) ও সাবিনা ইয়াছমিন (৪২)।

এতে অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরো ৫ থেকে ৬ জন।

দলীয় কোন্দলের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

আহত কাজী তামজীদ পাশার অভিযোগ, বদিউল আলম আমির খারাপ প্রকৃতির লোক। সে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। তার বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় একটি শালিস বৈঠকে প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়। বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয় বলে জানান তামজীদ পাশা।

তার দাবি, বেপরোয়া হামলার পর গুরুতর আহত হলে তার পকেট থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। অভিযুক্তরা হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।

বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান আহত ছাত্রলীগ নেতা কাজী তামজীদ পাশা।

ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা কাজী তামজীদ পাশা বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ছাত্রলীগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন