গুইমারা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত
বিএনপির চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপস্থিত এবং অসহযোগিতার অভিযোগে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। একই সঙ্গে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য ও সন্তোষজনক হলে স্বপদে পুনরায় বহাল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পদ স্থগিত হওয়া দুইজন হলেন, গুইমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ইউছুফ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার বলেন, বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও দায়িত্বে থাকার পরও সভাপতি ও সম্পাদক চলমান আন্দোলন সংগ্রামে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত এবং অসযোগিতা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই দলীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, মো. পেশায় একজন শিক্ষক। গুইমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষকের চাকরি করেন। একারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সবসময় কৌশলী হয়ে চলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তার নামে কখনো কোন মামলা হয়নি। তিনি সকল দলের আন্তরিক লোক। বিএনপর জাতীয় প্রোগ্রামে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয়হীনভাবে চলেন। এতে করে দলের তৃমনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
সেচ্চাসেবক দলের এক নেতা জানান, তার পছন্দ না হলে কমিটিতে রাখে না এরকম অনেক লোক এখন রাজনীতি করে না। দলটাকে দুর্বল বানিয়ে রেখেছে। তার বাড়ির এলাকার লোকজন দিয়ে সবগুলো কমিটি বানিয়েছে। দেরিতে হলেও ওয়াদুদ ভুইয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবিষয়ে স্থগিতকৃত সভাপতি ইউচুপ বলেন, চলমান আন্দোলন যতটুকু সফল করার দরকার ততটুকু আমরা করতে পারিনি। জেলা বিএনপির অভিযোগ সত্য। অপরজন সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেনকে বার বার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে অভ্যন্তরীণ সড়কে কিছু গাড়ি চললেও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়ে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।