ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ কমলেও আতঙ্ক কাটেনি

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সিমান্তে মিয়ানমারের অভ‍্যন্তরে চলা সে দেশের বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষের জেরে বিস্ফোরিত গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শূন্যরেখায় বসাবাসরত ৪ হাজার রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে দু’দিন ধরে বৃষ্টির ফলে সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ কিছুটা কমেছে।

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ী, গর্জনবুনিয়া, চাকঢালা, বড়ছনখোলা ও জামছড়ি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-মানুষের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার দীল মোহাম্মদ জানান, সোমবার রাত দশটার পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পযর্ন্ত সীমান্তের তুমরু পয়েন্ট ৬ রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনা গেছে। যা আগে বিস্ফোরিত হতো অর্ধ শতাধিক বা আরো বেশি । এজন্য তারা কিছুটা স্বস্তিতে আছে। তবে তাদের মনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। কারণ, কখন আবার সেই মর্টার শেল ও অন্যান্য গুলির আওয়াজ তাদের কানে বাজবে অশনি সংকেতের মতো।

আষারতলী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাবের জানান, তার এলাকায় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে এখন শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। ২ দিন ধরে বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার গুলি বা কোন মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি বলেও জানান তিনি।

চাকঢালা সীমান্তের একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিয়ানমানের অভ্যন্তরে এখনও গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে আগের চাইতে কম। তাদের ধারণা প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে হয়তো মিয়ানমার সেনারা প্রতিপক্ষ আরকান আর্মিকে ঘায়েলে করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এদিকে তুমব্রু ও আরো দক্ষিণেরর কিছু পয়েন্ট দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। যাদের সংখ্যা ৬শ পরিবার। এদের মধ্যে ৮ সদস্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে। তারা গভীর রাতে নাফ নদীর মাছ ধরার নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে।

তবে এ বিষয়ে স্থানীয় বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীদের কেউ কথা না বললেও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রস্তুত বিজিবি। কোনভাবে সীমান্তে আইন লঙ্ঘন নয়। বাংলাদেশ শান্তি চায়। সব কিছু আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা সকলের নৈতিক কর্তব্য।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, এবং ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজীজ জানান, তাদের কাছেও সীমান্তে কোন বিস্ফোরণ বা হট্টগোলের কোন তথ্য নেই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক, গোলাগুলি, ঘুমধুম সীমান্ত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন