ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব: কুতুবদিয়ায় খুলে দেয়া হয়েছে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র

fec-image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে বাতাসের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও সিপিপি নানা ধরণের পদক্ষেপ নেয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমূদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত অনুযায়ী সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রচারণা চলছে। দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ নিচু এলাকা বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী মানুষদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

সাগরে ঢেউয়ের আঘাত ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যে বাতাসের প্রভাবে কৈয়ারািবল মৌলভী আফজাল উদ্দিন পাড়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা স্বামী পরিত্যক্তা মাইমুনা বেগমের বাড়িতে গাছ উপড়ে পড়ে কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তার মালামাল সরাতে সহায়তা করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবে জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সতর্কতা প্রচারণা ও বাস্তবায়নে ইউনিয়নভিত্তিক ও পুলিশের একটি বিশেষ টিম মাঠে নেমেছে বলে থানার ওসি মো. ওমর হায়দার জানান।

উপজেলা সিপিপি টিম লিডার আলহাজ গোলাম রশীদ বাচ্চু জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক সব ধরণের সতর্কতা প্রচারণা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা ৬ ইউনিয়নে অন্তত ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে প্রতিটি ইউনিয়নে। স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরে রাখছেন নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা শেষে ব্যাপক সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সোমবার রাতের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী সবাইকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা, শুকনো খাবার, খিচুরিসহ আনুসাঙ্গিক সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়কেন্দ্র, কুতুবদিয়া, ঘূর্ণিঝড়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন