আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন সেন্টমার্টিনের মানুষ
১০নং মহা বিপদ সংকেত জারির পর থেকে সেন্টমার্টিনের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন।
শনিবার (১৩ মে) রাত ৮টার সময় কথা হয় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, এই মুহূর্তে দ্বীপের ভলান্টিয়ার ও জরুরি কাজে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ছাড়া সকলেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এখনো দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় “মোখা”র বড় ধরনের প্রভাব শুরু হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ আতঙ্ক পরিলক্ষিত হচ্ছে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারির পর সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু লোকজন কান্নাকাটি শুরু করেছেন বলে টেলিফোনে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়।’ দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে দ্বীপবাসী আশ্রয় নিয়েছে বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত করেছেন।’
গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো সেন্টমার্টিনে ৩৭ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রেও অবস্থান নিতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আরজিনা বেগম নামের এক নারী বলেন, “যদি ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়, তখন তো কেউ কারো খবর নিতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসলাম।’ চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’
সেন্টমার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিন হাসপাতাল, স্কুল ও ডাকবাংলোসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কয়েক হাজার পরিবার অবস্থান নিয়েছে।’ এই মুহূর্তে ভলান্টিয়ার, জরুরি কাজে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ছাড়া সকলেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। বলা যায়, শতকরা শতভাগ দ্বীপবাসী নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।