টাইগারদের বোলিং তোপে ১৮৬ রানেই অলআউট ভারত

fec-image

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কতটা ভয়ঙ্কর সেটা আবারও টের পেল ভারত। ম্যাচের আগের দিন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা যে ভয়ের কথা বলছিলেন সেটাই সত্যি হল মিরপুরে। দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে সাকিবের বিষাক্ত স্পিনে ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। দলে ফিরেই ঘূর্ণি জাদু দেখালেন সাকিব আল হাসান। গতিতে ঝড় তুললেন এবাদত হোসেনও। এই যুগলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ।

মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ সিরিজ জিতে লিড নিতে টাইগারদের দরকার মাত্র ১৮৭ রান।

শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পাওয়া অধিনায়ক লিটন দাস। মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে বোলিং উদ্বোধন করান তিনি। কাটার মাস্টার প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান।

এরপর হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান মিরাজরাও বোলিংয়ে এসে চাপ ধরে রাখেন। যার ফলশ্রুতিতে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেটের দেখাও পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

সাকিব-এবাদতের তোপে ১৮৬ রানেই অলআউট ভারত

মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন শিখর ধাওয়ান, বলটা ব্যাটে লেগে লাগে স্টাম্পে। পড়ে যায় বেল। ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি।

মাত্র ৭ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন ধাওয়ান। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। এরপর দেখেশুনে খেলে দলকে কিছুটা পথ এগিয়ে নেন কোহলি আর রোহিত। ১০ ওভারে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৪৮ রান।

একাদশতম ওভারে এসে জোড়া শিকার করে ভারতকে ফের চাপে ফেলে দেন সাকিব। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে তিন বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে রোহিতকে (৩১ বলে ২৭) বোল্ড করেন সাকিব। এক বল বিরতি দিয়ে ফেরান কোহলিকে।

সাকিব-এবাদতের তোপে ১৮৬ রানেই অলআউট ভারত

ওই উইকেটে অবশ্য অবদান বেশি বলতে হবে লিটনের। এক্সট্রা কভারে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন লিটন। কোহলি (৯) যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন।

২০তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার (২৪)।
উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম নেন সহজ ক্যাচ। ৯২ রানে ভারত হারায় ৪ উইকেট।

একশর আগে ৪ উইকেট হারানো দলকে টেনে তুলছিলেন লোকেশ রাহুল আর ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭৫ বলে তারা ৬০ রান যোগ করলে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।

সাকিব-এবাদতের তোপে ১৮৬ রানেই অলআউট ভারত

তবে সাকিবের ঘূর্ণিতে ফের কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারিরা। সুন্দরকে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে এবাদতের ক্যাচ হন সুন্দর (১৯)।

এরপরের ওভারে এবাদত নিজেই আঘাত হানেন। এবার তাকে সাহায্য করেন সাকিব। শাহবাজের (০) একদম নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচ কভারে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন। তার পরের ওভারে সাকিব বোল্ড করে ফেরান শার্দুল ঠাকুরকেও (২)।

ওই ওভারেই দুই বল পর চাহালকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফাইফার পূরণ করেন সাকিব। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন লোকেশ রাহুল।

এবাদতের শর্ট বলের ফাঁদে শেষ পর্যন্ত তিনিও ধরা পড়েন। থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ নেন এনামুল বিজয়। ৭০ বলে গড়া রাহুলের ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কার মার

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টাইগার, বাংলাদেশ, ভারত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন