রানের পাহাড় টপকে টাইগারদের স্মরণীয় জয়

fec-image

ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে শুক্রবার (১২ মে) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আইরিশরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে বিপদেই পড়ে।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরে যান অল্প রান করেই। এরপর দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান-লিটন দাসও। তাদের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয় ব্যাটে ভর করে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যামিও ও মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগার বাহিনী।

চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে প্রথম ওয়ানডে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছে। টস হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দেড়ক পরে। টস জিতে বোলিং নিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ। কিন্তু তিন স্পিনার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই যায়। ব্যাট করতে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের তোপে ১৬ রানে দুই উইকেট হারায় আইরিশরা। সেখান থেকে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরি ও জর্জ ডকরেলের ফিফটিতে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করে আইরিশরা।

তিনে নামা অধিনায়ক আন্দ্রে বালর্বিনি ও চারে নামা হ্যারি টেক্টর শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। তারা ৯৮ রান যোগ করেন। বালর্বিনি ফিরে যান ৪২ রান করে। তবে টেক্টর ছিলেন অবিচল। তিনি খেলেন ১১২ বলে ১৪০ রানে বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে দশটি ছক্কা ও সাতটি চারের শট আসে। শেষে তার সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি গড়েন জর্জ ডকরেল। তিনি ৪৭ বলে ৭৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি চার ও চারটি ওভার বাউন্ডারি আসে।

জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ৯ রানে প্রথম এবং ৪০ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। প্রথমে ওপেনার তামিম ইকবাল (৭) ফিরে যান। পরে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (২১)। এরপর নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসান ৬১ রান যোগ করেন। সাকিব ফিরে যান ২৭ বলে পাঁচ চারের শটে ২৬ রান করে। ওই চাপ শান্ত ও পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সামাল দেন। তারা ১৩১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন।

এরপর হৃদয় ৫৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ রান করে আউট হন। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা নাজমুল শান্ত ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৯৩ বলে ১২টি চার ও তিন ছক্কায় ওই ইনিংস গড়েন। পরেই ঝড়ো ব্যাট করা মেহেদি মিরাজ আউট হন। তিনি ১২ বলে তিন চারে ১৯ রান করেন।

বাংলাদেশের রান তখন ৩৯.৪ ওভারে ২৮৬। শেষ ৫.২ ওভারে দরকার আরও ৩৪ রান। প্রথমে টেলেন্ডার তাইজুল ইসলাম ও পরে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে অভিজ্ঞ মুশফিক ওই পথ পাড়ি দিয়েছেন। ছয়ে নামা ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেছেন ২৮ বলে ম্যাচ জেতানো ৩৬ রানের ইনিংস। চারটি চার মারেন তিনি। শেষ ওভারে গ্রাহাম হিউম নো বল দেওয়ায় জয়টা একটু সহজ হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জয়, টাইগার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন