বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামছে ডাচরা

fec-image

নেদারল্যান্ডের টানা দুই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাও আবার সেটা ১৯৭৪, ১৯৭৮ সালে ইয়োহান ক্রুইফদের আমলে।

সর্বশেষ অভিজ্ঞতা ২০১০ সালের ফাইনাল। অথচ ডাচদের সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে এইটুকুই! ২০১৪ বিশ্বকাপেও আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ছিটকে গেছে সেমিফাইনাল পৌঁছে। কমলা ফুটবলের ঢেউ তার পর দেখা যায়নি আর।

রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলতে না পারা দলটাকে এখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন লুই ফন গাল। তার আত্মবিশ্বাস এজন্যই এত কাজ করছে যে, তার মতে সর্বশেষ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া দলটার চেয়ে বর্তমান খেলোয়াড়দের গড়-মান ভালো!

এত বড় স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সোমবার নেদারল্যান্ডের সামনে বড় বাধা আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল। মুখোমুখিও হচ্ছে প্রথমবার। তেরাঙ্গা সিংহদের বিপক্ষে আবার আক্রমণ ভাগের সেরা তারকা মেমফিস দেপাইরও খেলা হচ্ছে না।

নেদারল্যান্ড কোচ ফন গাল তার পরেও ফন ডাইকদের ওপর ভরসা রাখছেন, ‘ভার্জিল ফন ডাইক দুর্দান্ত অধিনাক। এই দলটার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা নিজেদের কাজটা করতে মুখিয়ে থাকে।’

২০১৪ বিশ্বকাপে তার অধীনেই নেদারল্যান্ড তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। তখন কমলা ফুটবলে মাতাতে পেরেছিলেন আরিয়ান রোবেন, রবিন ফন পার্সি ও ওয়েসলি স্নাইডারের মতো তারকারা।

বর্তমান দলটি অবশ্য ভার্জিল ফন ডাইকের নেতৃত্বে খেলছে। সতীর্থ হিসেবে আছেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ও মাথিয়াস ডি লিখটের মতো তারকারা। ফন গালের কাছে বর্তমান দলটাই সেরা, ‘আমার মনে হয় ২০১৪ বিশ্বকাপে যারা তৃতীয় হয়েছিল, এই দলটার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। বর্তমান দলটা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে টুর্নামেন্টে আমাদের চেয়ে সেরা দল কিন্তু রয়েছে।’

সেনেগালের সেরা তারকা মানে না থাকায় দুঃখ হচ্ছে নেদারল্যান্ড অধিনায়ক ফন ডাইকের। হওয়ারই কথা। লিভারপুলে যে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন দুই সতীর্থ। মানে এখন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। তাই সাবেক সতীর্থের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপ আছে ডাচ অধিনায়কের।

পাশাপাশি প্রতিপক্ষের সেরা তারকা না থাকায় সেটাকে দেখছেন সুবিধা হিসেবেও, ‘ওর জন্য খারাপই লাগছে। আমি জানি ও কতটা পরিশ্রম করেছে সেনেগালের জন্য। তাই ওদের জন্য বিষয়টা মেনে নেওয়া কঠিন। তবে তার না থাকায় আশা করছি আমরা কিছুটা সুবিধা পাবো।’

দিনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা মাঠে গড়াবে সোমবার রাত ১০টায়। দেখাবে টি স্পোর্টস।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জয়, নেদারল্যান্ড, ফুটবল বিশ্বকাপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন