ডুলাহাজারা কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘনের অভিযোগ


চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ ঘিরে কলেজ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষাক্রম নিয়ে নানাধরণের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজে ইতোপূর্বে নিয়োগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম কুমার চৌধুরীর নিয়োগ পদ্ধতিগতভাবে বিধিমালার পরিপন্থী হয়েছে।
আগের অধ্যক্ষের অবসরজনিত শূন্য পদে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক উত্তম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন কলেজের সভাপতি।
ডুলাহাজারা কলেজের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।
কিন্তু কলেজ কমিটির সভাপতি দায়িত্ব দিতে গড়িমসি করছেন এবং অবৈধভাবে উত্তম কুমার চৌধুরী নামে ওই জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে বহাল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ২২ এপ্রিল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে ডুলাহাজারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে মাউশি অধিদপ্তর নির্দেশনা দেন কলেজ সভাপতি ছাবের আহমেদকে। কিন্তু অদ্যবদি তিনি এব্যাপারে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ কমিটির সভাপতি ছাবের আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানা যায়, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, কলেজটির হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক উত্তম কুমার চৌধুরী তিনজন শিক্ষকের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নন। অন্যদিকে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী এমপিওভুক্তির তারিখ, যোগদানের তারিখ এবং জন্ম তারিখ অনুসারে জ্যেষ্ঠতম।
জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১৩ নম্বরের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব প্রদানকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বিবেচনায় নেয়ার জন্য আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অধ্যক্ষের অবসরজনিত শূন্য পদে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। এটাই নীতিমালা ও আইন।
সেখানে মাউশির আদেশ লঙ্ঘন করলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কলেজ সভাপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।