দীঘিনালায় বন্যায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

দীঘিনালায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি এবং আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বৃষ্টি এবং উজানি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে উপজেলার কবাখালী এবং মেরুং ইউনিয়নের আমন ধান ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়া নষ্ট হয়ে যায় আমনের চারা এবং সবজি ক্ষেত।
উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কোন কোন ক্ষেত এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। কোথাও পানি নেমে গেলেও সদ্য জমিতে রোপণ করা আমন ধান নুয়ে পড়ে পচন ধরেছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়ে গেছে আমনের চারা এবং বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আমন ধান মোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯৭.২ হেক্টর। শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে, ৪৭.১ হেক্টর। উৎপাদনে আমনের ক্ষতির পরিমাণ ২৬৫.৩৬ মেট্টিক টন। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৬৮ লাখ ৯৯ হাজর ৩৬০ টাকা। অন্যদিকে সবজি উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৬১১.৮১ মেট্টিক টন। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০ টাকার মতো।
এব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. আবদুল হাই জানান, গত কয়েকদিন আগে অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কবাখালী এবং মেরুং ইউনিয়নে সবজি এবং আমনের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদা বেগম লাকী জানান, মেরুং ইউনিয়ন একটু নিচু এলাকা। তবে এবারের বন্যায় সবজি এবং আমন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া আমন ধানের চারা না থাকায় হয়তো অনেকের রোপণ করাও সম্ভব হবে না।
এব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপন চাকমা জানান, আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯৭.২ হেক্টর। শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে, ৪৭.১ হেক্টর।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: