দু’দিন পর সেন্টমার্টিন থেকে ফিরল আটক পড়া ৭’শ পর্যটক
বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দু’দিন পর সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে এসেছে আটকে পড়া ৭’শ পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল গত ১৬ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
সতর্কতা সংকেত কেটে যাওয়ায় শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এতে ফিরতি
জাহাজে করে বিকেলে ফিরে আসে আটকে পড়া পর্যটকরা।
এর আগে বুধবার পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দবাদ বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যায় এসব পর্যটকরা। এরপর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ৩ নম্বর থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত সর্তক সংকেত দেয়া হয়েছিল। যার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
সতর্ক সংকেত কেটে যাওয়ায় ফের জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজকে টেকনাফ থেকে বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দবাদ জাজাজ সেন্টমার্টিনে গিয়ে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে আসা হয়েছে। তবে যাওয়ার সময় বারআউলিয়া জাহাজে কোন যাত্রী না থাকলেও কেয়ারি সিন্দবাদে করে ৬০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে জাহাজ দুটি করে প্রায় ৭’শ পর্যটককে দ্বীপ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। তাঁরা ঘাটে ফিরে যে যার মতো রওনা দিচ্ছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে দ্বীপে থাকা পর্যটকরা ফিরেছে।’