হঠাৎ আলোচনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক
পাঁচ-ছয় দিন আগে, চিটাগং হিলট্রাক্টস কমিশন নামক একটি সংস্থার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাঙ্গামাটি শহরে গিয়েছিল। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটি শহরের একাধিক বাঙালি সংগঠন সেই কমিশনের গাড়িবহরকে বাধা দেয় এবং মিডিয়ার রিপোর্ট মোতাবেক, গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই প্রতিনিধি দলে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হলেন সুলতানা কামাল। আরেকজন ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিক ও আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের কন্যা স্বনামখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন।
এ ঘটনার পর পত্র-পত্রিকায় কিছু কিছু লেখালেখি হয়েছে, কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেক কলাম লেখক বা সংবাদদাতা বা টকশো আলোচক এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন। রমজানুল মোবারকের সীমাবদ্ধতার কারণে আমি টকশোতে যেতে পারিনি। কিন্তু মন্তব্যগুলো শুনে কিছু না বলতে পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। ৭ জুলাই রাত ১১টা থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যমুনা টিভিতে টকশো ছিল। আলোচক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (সাবেক নির্বাচন কমিশনার) এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। সেখানে মোবাইল ফোনে চার মিনিট কথা বলেছি। স্বাভাবিকভাবেই সেটা ছিল অসম্পূর্ণ কথা। ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন এবং অধ্যাপক মেসবাহ কামালের অনেক মন্তব্য লাখ লাখ মানুষ শুনেছে, কিন্তু আমি উত্তর দেয়ার সুযোগ পাইনি। এ নিয়ে কোনো নালিশ নেই। কিন্তু কিছু কথা বলে রাখা বাঞ্ছনীয়, তাই এ কলাম লেখা।
আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে বড় বই লিখেছি, বইটি অথেনটিক এবং প্রামাণিকভাবেই নির্ভুল। কারণ সেটা সরেজমিন অভিজ্ঞতালব্ধ। বইয়ের নাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতির মূল্যায়ন। প্রকাশক মওলা ব্রাদার্স। কিন্তু বই সবার পক্ষে পড়া সম্ভব হয় না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি কলাম লিখব বহুল প্রচারিত যুগান্তর পত্রিকাতেই। কিন্তু কলামের আকার সংক্ষিপ্ত হতেই হবে। তাই এ কলামের চারগুণ বর্ধিত অংশ পাওয়া যাবে আমার ওয়েবসাইটে। যে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই সেটা পড়তে পারবেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা ইংরেজিতে এইরূপ: www.generalibrahim.com. আজকের কলামটি সূচনামূলক।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পাঁচটি জেলার নাম হচ্ছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান। শেষের তিনটি জেলা ভূ-প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি বা পার্বত্য অঞ্চল। এ পাঁচটি জেলা সম্মিলিতভাবে একটি জেলা ছিল ১৮৬০ সাল পর্যন্ত। ১৮৬০ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার পূর্ব অংশকে তথা পাহাড়ি বা পার্বত্য অংশকে তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একটি আলাদা জেলা হিসেবে চিহ্নিত করে। ওই জেলার নাম দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম। ১৯৮৪ সালে ওই একটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ভেঙে তিনটি করা হয়- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ব উত্তর-পশ্চিম অংশে, মোটামুটি খাগড়াছড়ি জেলা নিয়ে হচ্ছে মং সার্কেল এবং সেই সার্কেলের চিফ বা প্রধানের পারিবারিক ও প্রশাসনিক সদর দফতর হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি নামক একটি জায়গায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ও পূর্বাংশে মোটামুটি রাঙ্গামাটি জেলা নিয়ে চাকমা সার্কেল এবং সেই সার্কেলের চিফ বা প্রধানের পারিবারিক ও প্রশাসনিক সদর দফতর হচ্ছে রাঙ্গামাটি শহরে। পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাংশে মোটামুটি বান্দরবান জেলা নিয়ে হচ্ছে বোমাং সার্কেল এবং সেই সার্কেলের চিফ বা প্রধানের পারিবারিক ও প্রশাসনিক সদর দফতর বান্দরবান শহরে। সার্কেল চিফ বা প্রধানদের ঐতিহ্যগতভাবে রাজা বলা হয়। যেমন- চাকমা রাজা, বোমাং রাজা ও মং রাজা। কিন্তু তারা ইংরেজি পরিভাষায় কিং নয়। উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান এ তিনটি আলাদা আলাদা জেলা হলেও, সমগ্র ভূখণ্ডটিকে এককথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বলে অভিহিত করা হয়।
এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৭১ সালে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ যেখানে জোয়ারের পানির মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী ক্ষীণভাবে যুক্ত ছিল এই যুদ্ধে। উপজাতীয় জনগণের পক্ষ থেকে যারাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন অথবা রণাঙ্গনে অংশ নিয়েছেন তারাই সুনামের সঙ্গে কাজটি করেছেন। তারা অবশ্যই স্মরণীয়। তবে বৃহদাংশ কেন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তার অনেক কারণ আছে, যা এখানে আলোচনা করছি না। অতি চমকপ্রদ তথ্য হল, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের পক্ষের শক্তির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় (অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাগরিক, ১/১১ সরকারের অন্যতম বিশেষ উপদেষ্টা ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়ের সুযোগ্য পিতা)। রাজা ত্রিবিদ রায় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর দুএকদিন আগে-পরে, গোপনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ত্যাগ করে পাকিস্তান পৌঁছে যান। দুই বছর আগে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা মন্ত্রী মর্যাদার নাগরিক ছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি অবিচার করা হয়েছিল, আমি দৃঢ়ভাবে তা বিশ্বাস করি। নতুন স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগণ কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি-দাওয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেন-দরবার করেন। এতে বিশেষ সাফল্য আসেনি। দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে ১৯৭২ সালে গোপনে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যার নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। ১৯৭৩ সালে এ দলের একটি সশস্ত্র অঙ্গ সংগঠন সৃষ্টি করা হয় যার নাম শান্তিবাহিনী। শান্তিবাহিনীকে সর্বতোভাবে সাহায্য-সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র প্রদান করেছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর থেকে এই শান্তি বাহিনী ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের ভূখণ্ডকে আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক-সামরিক যুদ্ধ (ইংরেজি ভাষায় ইনসার্জেন্সি) শুরু করে। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল যেগুলো বিবেচনাযোগ্য বলে আমি মনে করি।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর নতুন সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার উদ্যোগ না নিয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করে। তারা মনে করেছিল, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন (১৯৭৫-৭৬ সময়ে) অস্থিতিশীল, অতএব জোরে ধাক্কা দিলে দাবি আদায় সম্ভব। ওই আমলের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম পার্বত্য চট্টগ্রামে বারবার গমন করেন, উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন, গঠনমূলক বহুবিধ প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং বারবার আহ্বান জানান এই মর্মে যে, আসুন, আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করি। দুঃখের বিষয় হল, আলাপ-আলোচনা হয়নি। তখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য এবং সামরিকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল দরিদ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সেখানে বসতির অনুমতি দেয়া হবে।
পৃথিবীর অন্যান্য অনুরূপ যুদ্ধবহুল জায়গার মতো (অর্থাৎ ইংরেজি পরিভাষায় ইনসার্জেন্সি এবং কাউন্টার ইনসার্জেন্সি যেখানে বিরাজমান সেইরূপ জায়গায়) পার্বত্য চট্টগ্রামে দরিদ্র বাঙালি জনগণকে বসতি স্থাপন করতে দেয়ার কাজটি বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছে, প্রশাসনের কাছে এ বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভূমিকা এবং মূল্য অপরিসীম। স্থানের অভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারলেও, আমি মন্তব্যটি করে রাখতে চাই যে, বাঙালি জনগণ না থাকলে ইনসার্জেন্সি তথা শান্তিবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত রাষ্ট্রবিরোধী যুদ্ধ অন্য নেতিবাচক দিকে মোড় নেয়ার আশংকা ছিল শতভাগ। অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাঙালি শান্তিবাহিনীর আক্রমণে মারা গিয়েছে ১৯৯০ সালের পূর্ব পর্যন্ত। ওই পরিমাণ না হলেও বেশ কিছু উপজাতীয় জনগোষ্ঠীও মারা গিয়েছে। উপজাতীয় জনগণ মারা যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ দ্বিবিধ। এক কারণ হল, বাঙালির সঙ্গে সংঘর্ষ। আরেকটি কারণ হল শান্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রমণ। যেসব উপজাতীয় জনগণ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন বা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন, তাদের শান্তিবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করত, এমনকি গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দিত।
১৯৮৮ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে, বিশেষত খাগড়াছড়িতে, অতি অল্পভাবে রাঙ্গামাটিতে, প্রায় ২৬ হাজার বাঙালি পরিবার গুচ্ছগ্রামে থাকছে এবং তাদের দৈনন্দিন রেশনের চার ভাগের এক ভাগ সহযোগিতা সরকার থেকে পাচ্ছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বহুলাংশে বাস্তবায়িত হওয়ার পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে আসেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি জনগণ শান্তিচুক্তিকে গ্রহণ করেনি। শান্তিচুক্তিতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও শান্তিবাহিনীর নেতারা কৌশলগত উদ্দেশ্যে ছদ্মবেশে সন্নিবেশ করেছে।
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার চৌদ্দ বছর পরও সেখানে সংঘাত, চাঁদাবাজি, গুম-হত্যা, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা বন্ধ হয়নি এবং বাঙালিদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র অনগ্রসর উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর উপকার করার জন্য বেশকিছু বন্দোবস্ত নেয়া হয়েছিল। সেসব বন্দোবস্তের সুবাদে আজ উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দারুণভাবে অগ্রসর এবং তার বিপরীতে বাঙালি জনগোষ্ঠী দারুণভাবে অনগ্রসর। বাংলাদেশ সরকারের উপকারী মনোভাবের বদৌলতে উপজাতীয় জনগোষ্ঠী অনেকগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করে, যেগুলো বাঙালিরা ভোগ করে না। ফলে বাঙালিরা অনগ্রসর। বাঙালিরা সেই অনগ্রসরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তা চায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের কিছু বামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষপন্থী ও ভারতপন্থী গোষ্ঠী বাঙালিদের অগ্রসরতা চায় না। ষোলো কোটি বাঙালির দেশ বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই লাখ বাঙালি যে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো জীবনযাপন করছে এটা সমতল ভূমির মানুষ জানে না, উপলব্ধিও করে না। মাঝেমধ্যে গণ্ডগোল হলে মিডিয়ার কারণে নজরে আসে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন।
এ কলামে স্থানের অভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আগ্রহী সচেতন পাঠকের মনে সৃষ্টি হওয়া অনেক প্রশ্নের আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। তাই আগ্রহী পাঠক, সম্ভব হলে আমার ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখবেন। আমি শান্তিচুক্তির পুনর্মূল্যায়ন তথা রিভিশন প্রস্তাব করেছি।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
কি আর্লিখমু